প্রায় চার দশক অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। থিয়েটারের পাশাপাশি ৫০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন অনুপম খের। কেরিয়ার শুরুর এক বছরের মধ্যেই বলি অভিনেত্রী কিরণ খেরের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অনুপম। কিন্তু কিরণের আগেও বলিপাড়ার অন্য এক অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছিলেন অনুপম।
১৯৮৪ সালে মহেশ ভট্ট পরিচালিত ‘সারাংশ’ ছবিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন অনুপম। কেরিয়ার শুরুর আগেই সংসার পেতেছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সালে বলি অভিনেত্রী মধুমালতী কপূরকে বিয়ে করেছিলেন অনুপম।
কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন অনুপম এবং মধুমালতী। বিচ্ছেদের কয়েক বছর পর কিরণকে বিয়ে করেন অনুপম।
অনুপমের চেয়ে মাত্র দু’মাসের বড় মধুমালতী। ১৯৫৫ সালের ১২ জানুয়ারি মুম্বইয়ে জন্ম তাঁর। শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর।
দশ বছর বয়সে ‘মহারাজা বিক্রম’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় মধুমালতীকে। ১৯৬৫ সালে এসএন ত্রিপাঠির পরিচালনায় এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল।
মুম্বইয়ের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর শিমলায় গিয়ে কলেজে অভিনয় নিয়ে ভর্তি হন মধুমালতী। তার পর দিল্লির কলেজে অভিনয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান অভিনেত্রী।
দিল্লির কলেজেই অনুপমের সঙ্গে প্রথম আলাপ মধুমালতীর। দু’জনেই সহপাঠী ছিলেন। পরিবারের মতেই দু’জনের বিয়ে হয়। কিন্তু বেশি দিন একই ছাদের তলায় থাকতে পারেননি তাঁরা।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, অনুপম এবং মধুমালতীর হামেশাই মতের অমিল দেখা দিত। অধিকাংশ সময় ঝগড়া করতেন তাঁরা। তাই সহমতের ভিত্তিতে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন তাঁরা।
মধুমালতীকে বিচ্ছেদের পর ১৯৮৫ সালে কিরণকে বিয়ে করেন অনুপম। বিচ্ছেদের পর একা থাকেননি মধুমালতীও।
বলি অভিনেতা অনু কপূরের ভাই রঞ্জিত কপূরকে বিয়ে করেন মধুমালতী। অভিনেত্রীকে বিয়ের আগে রঞ্জিত আরও একটি বিয়ে করেছিলেন। দুই সন্তানের পিতাও ছিলেন তিনি।
রঞ্জিতের সঙ্গে মধুমালতীর বিয়ের পর রঞ্জিতের দুই সন্তানকে নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসতে শুরু করেন মধুমালতী। বিয়ের পর এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী।
কিন্তু রঞ্জিতের সঙ্গেও বিয়ে ভেঙে যায় মধুমালতীর। কন্যাসন্তান মিশা কপূরকে নিয়ে একা থাকতে শুরু করেন অভিনেত্রী। বহু হিন্দি ধারাবাহিক, হিন্দি এবং পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
‘গদর: এক প্রেম কথা’, ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’, ‘দে দে প্যার দে’, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’, ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’ এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
মধুমালতীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বলি অভিনেত্রী অর্চনা মিশ্রকে বিয়ে করেন রঞ্জিত। কিন্তু মধুমালতী আর নতুন জীবন শুরু করেননি। ৬৮ বছর বয়সেও কেরিয়ার এবং কন্যা মিশাকে নিয়ে ব্যস্ত তিনি।