Bheem Ka Matka

১৩০০ বছরের পুরনো হাঁড়ির জল ফুরোয় না, দ্রৌপদীর জন্য জল এনে এই পাত্রে ভরতেন ভীম!

মন্দিরের কাছেই রয়েছে দশম শতাব্দীতে তৈরি বিশাল সেই হাঁড়ি। মাটির তৈরি কলস নিয়ে রয়েছে অনেক গল্প। অনেক জনশ্রুতি। এই হাঁড়ির জল নাকি রোগ নিরাময়ও করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জম্মু শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২১
Share:
০১ ১৫

বিতস্তা নদীর ধারে পাথরের তৈরি প্রাচীন মন্দির। সেই মন্দিরের সামনেই রয়েছে বিশাল এক মাটির হাঁড়ি। স্থানীয়েরা বলেন, ‘ভীম কা মটকা’। সেই মাটির হাঁড়ি নিয়ে রয়েছে নানা গল্পগাথা।

০২ ১৫

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লার উরিতে রয়েছে দত্তা মন্দির। সেই মন্দিরের সামেনই রয়েছে বিশাল সেই হাঁড়ি ‘ভীম কা মটকা’।

Advertisement
০৩ ১৫

বলা হয়, এই ‘ভীম কা মটকা’ নাকি ১,৩০০ বছরের পুরনো। মাটির নীচে প্রায় পাঁচ ফুট গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই হাঁড়ি। এই হাঁড়ির জল নাকি কখনও শুকোয় না।

০৪ ১৫

স্থানীয়েরা বলেন, এই হাঁড়ি থেকে যত খুশি জল তুলে নিলেও ফুরায় না। হাঁড়ির জলের নাকি রোগ সারানোর ক্ষমতায় রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই জলে স্নান করলে চামড়ার অসুখ সেরে যায়। পেটের অসুখও সেরে যায়।

০৫ ১৫

শ্রীনগর পুলিশের প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার শহীদ চৌধুরী গত বছর সমাজ মাধ্যমে এই ‘ভীম কা মটকা’-র ছবি দিয়েছিলেন। সেখানে জানিয়েছিলেন এই মাটির হাঁড়ির গুণাগুন।

০৬ ১৫

প্রায় ১২০ বছর আগে এই মাটির হাঁড়ির হদিস পেয়েছিলেন স্থানীয়েরা। সেই থেকে এই হাঁড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানা গল্প।

০৭ ১৫

ওই সময়ই প্রথম উরির দত্তা মন্দিরেরও খোঁজ মেলে। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে কাশ্মীরে সব মন্দির এবং স্থাপত্য খুঁজে নথিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক মার্ক অরেল স্টেইন।

০৮ ১৫

স্টেইনের জন্ম হাঙ্গেরিতে। তিনি সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলেন। কাশ্মীরি ঐতিহাসিক কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন।

০৯ ১৫

‘রাজতরঙ্গিনী’ অনুবাদের সময় থেকেই কাশ্মীরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন স্টেইন। তার পর সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য খুঁজে বার করার কাজ শুরু করেন।

১০ ১৫

বারামুল্লা জেলার উরির কাছে দত্তা মন্দিরও তিনিই প্রথম খুঁজে গোটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেন। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) নথিতে এই মন্দির দেথা মন্দির বান্দি নামে নথিবদ্ধ রয়েছে।

১১ ১৫

মনে করা হয়, দশম শতাব্দীতে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। কাশ্মীরি স্থাপত্যশৈলী মেনে। ১৯১৩ সালে উদ্ভিদবিদ র‌্যালফ আর স্টুয়ার্ট প্রথম এই দত্তা মন্দিরের ছবি তোলেন।

১২ ১৫

স্থানীয়েরা দাবি করেন, এই মন্দির আসলে তৈরি করেছিলেন পাণ্ডবেরা। কাছের পাহাড় কেটে নিজের হাতে মন্দির নির্মাণের জন্য পাথর বয়ে এনেছিলেন ভীম। বিষ্ণুর পুজো হত এই মন্দিরে।

১৩ ১৫

এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে সেই বিশাল মাটির হাঁড়ি। কথিত রয়েছে, স্ত্রী দ্রৌপদী এবং চার ভাইয়ের জন্য বিতস্তা নদী থেকে জল এনে এই হাঁড়িতে ভরে রাখতেন ভীম। তাঁদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য। সে কারণে হাঁড়ির নাম ‘ভীম কা মটকা’।

১৪ ১৫

১৯৪৭ সালে এই মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। মন্দিরের ভিতরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। চুরি হয় বিগ্রহের গয়না, প্রণামী।

১৫ ১৫

১৯৯২ সালে এই মন্দিরে মার্বেলের শিবের বিগ্রহ স্থাপন করে ভারতীয় সেনা। তার পর থেকে এই মন্দিরে শুরু হয় পুজো। পর্যটক-সহ ভক্তদের যাতায়াতও বৃদ্ধি পায়। মুখে মুখে প্রচার হতে থাকে ভীমের সেই মটকার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement