বিশেষ বান্ধবী দেখা দিলেন বিশেষ ভূমিকায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামাইষষ্ঠী পালন হল গোলপার্কের বাড়িতে।
বৈশাখী জানিয়েছেন, এই দায়িত্ব তাঁর মায়ের হলেও তিনিই পালন করেছেন। মায়ের নির্দেশেই তাঁর সব আয়োজন।
বৈশাখী রবিবারের অনুষ্ঠান পর্বের সব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর সেখানেই জানিয়েছেন তাঁর মা খুবই অসুস্থ। সে কারণেই তাঁর শাশুড়ির ভূমিকা পালন।
শুধু শোভনকেই নয়, মেয়ে মহুলকেও বৈশাখী ষষ্ঠীর ভোজ খাইয়েছেন নিজের হাতে।
বৈশাখী লিখেছেন, তাঁর মায়ের চোখে শোভন জামাইয়ের থেকেও বেশি করে সন্তান।
দুর্গাপুজোর দশমীর দিনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিতে দেখা গিয়েছিল শোভনকে। সেটা বিবাহের স্বীকৃতি কি না, তা নিয়ে এখনও ওঁরা স্পষ্ট করে জানাননি। তবে বৈশাখী রবিবার জানালেন শোভন তাঁর মায়ের জামাই।
সত্যি করেই একেবারে পঞ্চব্যঞ্জনে শোভনকে খাইয়েছেন বৈশাখী। ছিল এক থালা মিষ্টিও।
রুপোর থালায় মিষ্টি সাজিয়ে দেন বৈশাখী। রুপোর গ্লাসেই জল। সেই সঙ্গে রুপোর চামচে করে ‘জামাই’ শোভনকে খাইয়েও দেন বৈশাখী।
জামাই আদরে খাওয়ানোর পাশাপাশি একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে, শোভনের মাথায় বৈশাখীর ‘স্নেহ’ ভরা পরশ রাখতে।
মিষ্টির পরে মূল ভোজ। নিজে হাতে পরিবেশন করেন বৈশাখী। বাটিতে বাটিতে সাজিয়ে দেন নানা পদ। তাতে মাছ, মাংসের পাশাপাশি ছিল নিরামিষ তরকারিও।
খাবার দিয়েই যে সরে গিয়েছেন তাও নয়। শাশুড়িরা যেমন করে থাকেন সেই ভাবে পাশে বসে শোভন ঠিক করে খেলেন কি না, সে দিকেও নজর রেখেছেন।
এত এত মিষ্টি, খাবার শোভন খেয়েছেন কি না, জানা যায়নি। তবে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অনেক মিষ্টি দেখে রীতিমতো থতমত খেয়ে রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন।
একা বৈশাখী নন, তাঁর কন্যা মহুলও খাইয়ে দেন শোভনকে।
শোভনের শাশুড়ি অর্থাৎ বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মা প্রয়াত কস্তুরী দাসও এক সময় যত্ন করে জামাইষষ্ঠী পালন করতেন। এখন অবশ্য শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কই নেই শোভনের। বৈশাখীর হাতে রবিবারের জামাইষষ্ঠীর খবর শুনে রত্না অবশ্য কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি।