Blue Aadhaar Card

শিশুদের জন্য ‘ব্লু’ আধার! বৈধ থাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত, আবেদন করবেন কী ভাবে?

‘ব্লু আধার কার্ড’ পাঁচ বছর বয়সিদের জন্য চালু করা এক বিশেষ পরিচয়পত্র। আধার কার্ডটির রং নীল হওয়ার কারণেই পরিচয়পত্রের এই বিশেষ নাম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৮
Share:
০১ ১৬

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে প্যান কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা, অনন্য ১২ সংখ্যার আধার কার্ডের গুরুত্ব প্রতিটি দেশবাসীর জীবনে অপরিসীম। ভারতীয়দের কাছে আধার কেবলমাত্র পরিচয়পত্র নয়, দেশবাসী হওয়ার প্রমাণ হিসেবেও উঠে এসেছে বার বার।

০২ ১৬

তবে ২০১৮ থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্যও আধার চালু করেছে কেন্দ্র। শিশুদের সেই আধার কার্ডের নাম ‘ব্লু আধার কার্ড’।

Advertisement
০৩ ১৬

‘ব্লু আধার কার্ড’ পাঁচ বছর বয়সিদের জন্য চালু করা এক বিশেষ পরিচয়পত্র। আধার কার্ডটির রং নীল হওয়ার কারণেই পরিচয়পত্রের এই বিশেষ নাম। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের আধার কার্ডের থেকে ‘ব্লু আধার কার্ড’ আলাদা।

০৪ ১৬

সাধারণ আধার কার্ডের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ‘বায়োমেট্রিক’ (আঙুলের ছাপ এবং আইরিস স্ক্যান) তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ছোট শিশুদের থেকে বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য হতে পারে। আর সেই কারণেই নীল আধার কার্ডের জন্য শিশুদের থেকে সে রকম কোনও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হয় না।

০৫ ১৬

‘বায়োমেট্রিক’ তথ্যের পরিবর্তে ওই শিশুদের ‘ইউআইডি (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর)’ তাদের জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য এবং তাদের বাবা বা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের আধারে থাকা ছবির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।

০৬ ১৬

শিশুদের আধার কার্ড তৈরি করাতে বাবা-মার করণীয় কী? যে বাবা-মা নিজের সন্তানের জন্য নীল আধার কার্ড তৈরি করাতে চান, তাঁকে প্রথমে নিকটবর্তী একটি আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে যেতে হবে।

০৭ ১৬

আধারের ওয়েবসাইট uidai.gov.in থেকে তালিকাভুক্তি কেন্দ্রের তালিকা পাওয়া যেতে পারে।

০৮ ১৬

শিশুর আধার কার্ড তৈরি করাতে গেলে প্রয়োজনীয় কয়েকটি কাগজপত্র সঙ্গে রাখা আবশ্যিক।

০৯ ১৬

জরুরি সেই কাগজগুলির মধ্যে রয়েছে, সন্তানের জন্মতারিখের প্রমাণ (যেমন, জন্ম শংসাপত্র, টিকাদান কার্ড) এবং বাবা-মার পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণ (যেমন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড)।

১০ ১৬

শিশুর সম্প্রতি তোলা একটি ছবিও আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া আবশ্যিক।

১১ ১৬

এর পর আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রের তরফে বাবা-মাকে একটি ফর্ম পূরণ করার জন্য দেওয়া হয়। তবে আধারের ওয়েবসাইট থেকে সেই ফর্ম আগেই ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে।

১২ ১৬

ফর্ম পূরণের পর বাবা-মাকে সন্তানের সঙ্গে ছবি তুলতে হবে। যমজ সন্তান হলে দু’বার এই প্রক্রিয়া করতে হবে।

১৩ ১৬

ছবি তোলার পর নথি এবং ফর্ম ওই তালিকাভুক্তি কেন্দ্রের আধিকারিকের হাতে তুলে দিতে হবে। এর পর আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রের তরফে শিশুর বাবা-মাকে একটি রসিদ দেওয়া হবে।

১৪ ১৬

সেই রসিদে থাকা নম্বরের সাহায্যে শিশুর নীল আধার তৈরির প্রক্রিয়া কতদূর এগোল, তা আধারের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

১৫ ১৬

শিশুদের কার্ড তৈরি করানোর জন্য কোনও টাকা লাগে না। তবে নীল আধার কার্ডটি শিশুর ৫ বছর বয়স পর্যন্তই বৈধ। শিশুর বয়স পাঁচ পেরিয়ে গেলেই সেই আধার কার্ডের আর কোনও বৈধতা থাকবে না।

১৬ ১৬

শিশুর বয়স ৫ হয়ে যাওয়ার পর তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য আধার কার্ডে যুক্ত করতে হবে। যে কোনও আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্র থেকেই তা করা যেতে পারে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement