আপনি কি উড়োজাহাজে চেপে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন? অথবা কোনও কারণে আপনি ভিসা পাচ্ছেন না? তা হলে সরকারি দফতরে যাওয়ার আগে ঘুরে আসতে পারেন শহিদ বাবা নিহাল সিংহ গুরুদ্বারে।
পঞ্জাবের এই গুরুদ্বারে প্রার্থনা করলে নাকি সহজেই পাওয়া যাবে বিদেশে যাওয়ার ‘টিকিট’। তবে ভেট হিসাবে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে খেলনা বিমান। ব্যাস, তা হলেই কেল্লাফতে!
পঞ্জাবের জালন্ধরের কাছে তালিহান গ্রামে এই গুরুদ্বারটি রয়েছে।
প্রার্থনার সময় খেলনা বিমান দেওয়া হয় বলে এই গুরুদ্বারটি ‘এরোপ্লেন গুরুদ্বার’ নামেও পরিচিত।
প্রতি সপ্তাহে শনি ও রবিবার গুরুদ্বারের সামনে সারি দিয়ে রাখা থাকে খেলনা বিমান।
গুরুদ্বারের বাইরে আলাদা করে খেলনা বিমান বিক্রির দোকানও বসে।
স্থানীয়দের দাবি, এই গুরুদ্বারে নাকি ২০ জন ছাত্র প্রার্থনা করতে এসেছিলেন যেন তাঁরা তাড়াতাড়ি স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যান।
মজার ছলেই প্রার্থনার সময় খেলনা বিমান নিবেদন করেছিলেন তাঁরা। গুরুদ্বার থেকে ফেরার কিছু দিনের মধ্যে সকলেই স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যান।
এই ঘটনার পর আরও অনেকে এই নিয়ম মেনে খেলনা বিমান দিয়েছিলেন। শোনা যায়, তাঁদের সকলেরই ইচ্ছাপূরণ হয়েছিল।
তার পর থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। প্রতি শনি ও রবিবার গুরুদ্বারে ২০০টিরও বেশি খেলনা বিমান দেওয়া হয়।
পরে সেই বিমানগুলি বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়।
জালন্ধর এবং তার পার্শ্ববর্তী হোশিয়ারপুর ও ফাগওয়ারা এলাকায় প্রায় ছ’লক্ষ এনআরআই রয়েছেন।
দর্শনার্থী ছাড়াও এই গুরুদ্বার দেখতে বহু পর্যটক ভিড় করেন।