Willow

১০০০০০০০০০০০০০০ ০০০০০০০০০০০ বছরের কাজ ৫ মিনিটে! ‘উইলো’ কী? কাজ করে কী ভাবে?

গুগ্‌ল মনে করছে নতুন ওষুধ আবিষ্কার, ফিউশন শক্তি এবং ব্যাটারি শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবহৃত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে ‘উইলো’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৭
Share:
০১ ১৫
All need to know about Willow, quantum computing chip of Google

১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ বছরের কাজ করে দেবে মাত্র পাঁচ মিনিটে! পরবর্তী প্রজন্মের এমনই এক যুগান্তকারী কোয়ান্টাম চিপ বানিয়ে তাক লাগাল আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগ্‌ল।

০২ ১৫
All need to know about Willow, quantum computing chip of Google

টেক জায়েন্টের নতুন এই আবিষ্কারের খবরে বিশ্ব জুড়ে হইচই পড়েছে। গুগ্‌লের তৈরি ওই চিপের নাম ‘উইলো’। চিপটির কথা জানিয়েছেন গুগ্‌লের সিইও সুন্দর পিচাই নিজেই।

Advertisement
০৩ ১৫
All need to know about Willow, quantum computing chip of Google

কোয়ান্টাম চিপ হল একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার চিপ যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নীতি ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়।

০৪ ১৫

ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় সংস্থার কোয়ান্টাম ল্যাবে তৈরি নতুন চিপটি মাত্র পাঁচ মিনিটে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। সেই গাণিতিক সমস্যা এতটাই জটিল ছিল যে তা বিশ্বের তাবড় তাবড় কম্পিউটারের সমাধান করতে কোটি কোটি কোটি বছর সময় নেবে।

০৫ ১৫

‘উইলো’ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে সুন্দর লিখেছেন, ‘‘আসুন উইলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। আমাদের নতুন অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ। এই চিপ সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন ত্রুটি দ্রুত গতিতে কমাতে পারে।... একটি পরীক্ষায় উইলো পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে এমন একটি গণনা করে দিয়েছে যা একটি সুপার কম্পিউটারের করতে ১০^২৫ বছরেরও বেশি সময় লাগবে, যা মহাবিশ্বের বয়সের থেকেও বেশি।’’

০৬ ১৫

সুন্দর আরও লিখেছেন, ‘‘আমাদের নতুন অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ এমন একটি আবিষ্কার যা খুব কম সময়ে ত্রুটি কমাতে পারে। আমাদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৩০ বছরের একটি চ্যালেঞ্জের সমাধান করেছি।’’

০৭ ১৫

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রযুক্তি হিসাবে ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ‘উইলো’।

০৮ ১৫

গুগ্‌লের একটি ব্লগ পোস্ট অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নিজেকে সবচেয়ে অত্যাধুনিক এবং যোগ্য বলে প্রমাণ করেছে ‘উইলো’।

০৯ ১৫

তবে তার মধ্যে যে দু’টি ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে ভাল বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার প্রথমটি হল, ‘উইলো’ দ্রুতগতিতে ত্রুটি কমাতে সক্ষম। কোয়ান্টাম ত্রুটি সংশোধনের এই জায়গাটি গত ৩০ বছর ধরে অমীমাংসিত ছিল।

১০ ১৫

দ্বিতীয় ক্ষেত্র হল, পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে জটিল সমস্যা সমাধানে সক্ষম এই চিপ। বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত সুপারকম্পিউটারগুলিও সেই সমস্যা সমাধানে ১০ সেপ্টিলিয়ন বছর সময় নেবে। মহাবিশ্বের বয়সও এর থেকে কম।

১১ ১৫

‘উইলো’, সুপারকন্ডাক্টিং ট্রান্সমন কিউবিটস ব্যবহার করে কাজ করে। ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলি অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় কোয়ান্টাম আচরণ প্রদর্শন করে। কোয়ান্টাম অবস্থায় কৃত্রিম পরমাণুর মতোও কাজ করে সার্কিটগুলি।

১২ ১৫

গুগ্‌ল মনে করছে নতুন ওষুধ আবিষ্কার, ফিউশন শক্তি এবং ব্যাটারি শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবহৃত দরকারি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারে ‘উইলো’।

১৩ ১৫

সাধারণ কম্পিউটারের থেকে অনেকটাই আলাদা কোয়ান্টাম কম্পিউটার। সমস্যা সমাধানে এই কম্পিউটারগুলি কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করে। সাধারণ কম্পিউটার তথ্য মাপে বিট এককে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সেই একক কিউবিট।

১৪ ১৫

‘উইলো’ আবিষ্কার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক। সুন্দরের পোস্ট তিনি রিপোস্ট করে লেখেন একটি শব্দ, ‘ওয়াও’। অর্থাৎ, তিনি বুঝিয়েছেন যে, ওই খবরে তিনি উৎফুল্ল।

১৫ ১৫

উল্লেখ্য, ইলনের সংস্থা ‘নিউরালিঙ্ক’ও এমন একটি অত্যাধুনিক চিপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে, যা মানব মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করার চিন্তাভাবনা চলছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement