আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই নিজের দলের ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন অখিলেশ যাদব। তবে কি আবার প্রশ্নের মুখে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্যৎ?
আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি এখনও। তারই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ১৬টি লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।
অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল এ বারও তাঁর পুরনো কেন্দ্র মৈনপুরীতেই লড়বেন। ডিম্পল ছাড়াও প্রয়াত দলের প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিংহ যাদবের পরিবারের অক্ষয় যাদব (ফিরোজাবাদ), ধর্মেন্দ্র যাদব (বদায়ুঁ)। অম্বেডকরনগরে প্রার্থী করা হয়েছে প্রভাবশালী কুর্মি নেতা লালজি বর্মাকে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এসপি উত্তরপ্রদেশে পাঁচটি আসনে জিতেছিল। পরে রামপুর এবং আজমগড় উপনির্বাচনে জিতে নেয় বিজেপি।
ডিম্পল ছাড়াও আর এক বিদায়ী সাংসদ সফিকুর রহমান বার্ককে তাঁর পুরনো কেন্দ্র সম্ভলে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার অখিলেশ দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ১১টি কংগ্রেসকে ছাড়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
যদিও তার পরেই কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে এসপির একতরফা প্রার্থী ঘোষণায় উত্তরপ্রদেশে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অখিলেশের দল যে আসনগুলিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কংগ্রেসের তালিকাতেও ছিল বলে ‘খবর’।
এর মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের পুরনো কেন্দ্র ফারুকাবাদ। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নির্মল ক্ষত্রীর ২০০৯ সালে জেতা ফৈজাবাদ রয়েছে এই তালিকায়।
রয়েছে ২০০৯-এ কংগ্রেসের জেতা ধৌরাহরা। লখনউ কেন্দ্রেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় দু’লক্ষ ভোট পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ঘটনাচক্রে, এই আসনগুলিতে পরবর্তী সময়েও কখনও জেতেনি অখিলেশের দল।
উত্তরপ্রদেশে জাঠ নেতা জয়ন্ত চৌধরির দল আরএলডি-ও ইতিমধ্যেই অখিলেশের জোটে শামিল হয়েছে। তাদের সাতটি আসন ছেড়েছে সমাজবাদী পার্টি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিএসপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডি। অখিলেশের দল পাঁচটি আসনে জিতলেও জয়ন্তের ঝুলি ছিল শূন্য।
বিএসপি জিতেছিল ১০টিতে, তার আগে ২০১৪ সালে একা লড়েও উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল সমাজবাদী পার্টি। বিএসপি একটিতেও জেতেনি।