সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন মানুষী চিল্লর।
একই সঙ্গে বলিউডে ৩০ বছর পূর্ণ হল অক্ষয়ের। তিন দশক পার হয়ে গেলেও কমবয়সি নায়িকাদের সঙ্গে অন স্ক্রিন রোম্যান্স চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিনয় জীবনের শুরুতেও তিনি যে বয়সের অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন, এখনও একই বয়সের নায়িকার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।
অক্ষয়ের বয়স বাড়লেও সিনেমার চরিত্র অনুযায়ী, তিনি এখনও তাঁর যৌবনকালেই রয়েছেন।
এক সময় সলমন খান ও দিশা পটানির বয়সের পার্থক্য নিয়ে সকলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু অক্ষয় এ ক্ষেত্রে সলমনকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন। ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘খিলাড়ি’-তে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন আয়েশা জুলকা। তখন দু’জনের বয়সের পার্থক্য ছিল মাত্র পাঁচ বছর।
সময় যত এগিয়েছে, নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর বয়সের রেখচিত্রেও বিস্তর ফারাক লক্ষ করা গিয়েছে। শিল্পা শেট্টি, তব্বু, রবীনা টন্ডন, করিশ্মা কপূর, ঊর্মিলা মাতন্ডকরের মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর পাঁচ থেকে আট বছরের পার্থক্য ছিল।
জুহি চাওলা, মাধুরী দীক্ষিতের মতো সমসাময়িক অভিনেত্রীদের সঙ্গেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অক্ষয়কে। বিপাশা বসু থেকে ক্যাটরিনা কইফ— অনেকেরই সাফল্য যাত্রা শুরু করেন অক্ষয়ের হাত ধরেই।
ক্যাটরিনা তাঁর জীবনের বেশির ভাগ ছবিই করেছেন সলমন এবং অক্ষয়ের সঙ্গে। অক্ষয়-ক্যাটরিনা জুটিকে দর্শকরা পছন্দও করেছিল খুব।
২০০৬ সালে ক্যাটরিনার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রথম ছবি ‘হমকো দিওয়ানা কর গয়ে’ মুক্তি পেয়েছিল। ১৬ বছরের পার্থক্য থাকলেও ক্যাটরিনার বিপরীতে অক্ষয়কে একটুও বেমানান মনে হয়নি।
এক দিকে যেমন অক্ষয়ের থেকে বয়সে ছোট হয়েও তাঁর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শেফালি শাহ, অন্য দিকে নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন অক্ষয়।
কৃতি শ্যাননের বোন নূপুরকেও দর্শকমহলে জনপ্রিয় করে তুলেছেন অক্ষয়। সিনেমার মাধ্যমে নয়, একটি মিউজিক ভিডিয়োতে অক্ষয়ের বিপরীতে ছিলেন নূপুর।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও নূপুরকে একটি হিন্দি ছবিতে এক সঙ্গে দেখা যাবে। শ্যুটিং-এর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।
এখন অভিনেতার বছর ৫৪-এর দোরগোড়ায়। তাঁর ফিটনেস, অভিনয় দক্ষতার জন্য একের পর এক হিট ছবি উপহার দিচ্ছেন। এখনও তিনি ‘চিরতরুণ’ হয়ে রয়েছেন দর্শকদের মনেও।