ক্রেডিট স্কোর এখনকার দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেডিট স্কোরের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময়ে। অনেক ব্যাঙ্ক প্রতি মাসে আপনার ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্টে ক্রেডিট স্কোরের তথ্য দেয়। আবার অনেক সংস্থা বিনামূল্যে ক্রেডিট স্কোর দেখতে দেয়।
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময়ে ক্রেডিট স্কোরের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনার ক্রেডিট স্কোর কত, তার উপর ভিত্তি করেই ব্যাঙ্কগুলি আপনাকে ঋণ দেয়। ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকলে খুব সহজেই ঋণ পাওয়া যায়। আবার ক্রেডিট স্কোর খারাপ থাকলে ঋণ পেতে সমস্যা হয়।
তবে ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকলেও অনেকে ক্ষেত্রে ঋণ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকার মানে এই নয় যে, আপনি দ্রুত ঋণের অনুমোদন পাবেন। এর জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকা সত্ত্বেও ঋণ না পাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। ঋণ অনুমোদনের আগে, ব্যাঙ্কগুলির ক্রেডিট স্কোর চেক করার পদ্ধতি কিছুটা আলাদা। প্রত্যেক ব্যাঙ্কের নিজস্ব কাটঅফ স্কোর রয়েছে। আপনার স্কোর যদি তার নীচে থাকে, তা হলে আপনার ঋণের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। বিনামূল্যের সাইটগুলিতে আপনার ভাল স্কোর থাকার মানেই যে ব্যাঙ্কের কাস্টম স্কোরে আপনার স্কোর ভাল হবে, তা না-ও হতে পারে। তাই বিনামূল্যের স্কোরকে কেবল গাইড হিসেবে গণ্য করা উচিত। তা হলে, আপনার কাছে ভাল ক্রেডিট স্কোর আছে কি না, তা বুঝতে পারবেন। কিন্তু, আপনি ঋণের জন্য অনুমোদন পাবেন, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
ঋণের জন্য কাস্টম স্কোরের হিসাব করার সময়ে আয় এবং কর্মসংস্থানের উপর বেশ জোর দেওয়া হয়। আপনি যদি কর্মহীন হন, অথবা আপনার আয় ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ন্যূনতম আয়ের থেকে কম হয়, সেই ক্ষেত্রেও অনেক ব্যাঙ্ক আপনাকে ঋণ দিতে অস্বীকার করতে পারে।
আপনি প্রতি মাসে সময় মতো ঋণের অর্থ প্রদান করতে পারেন কি না, তা-ও পরীক্ষা করে ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলি। আপনার ক্রেডিট রিপোর্টে আপনি প্রতি মাসে যে যে ঋণ শোধ করেন, তা দেখানো হয়। অর্থাৎ, আপনার মর্টগেজ পেমেন্ট, অটো পেমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট এবং অন্য কোনও মাসিক পেমেন্ট থাকলে সবই তাতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। মাসিক মোট দেয় অর্থকে আপনার বেতন দিয়ে ভাগ করা হয়। ফল ৫০-এর উপরে হলে, ব্যাঙ্ক সাধারণত ঋণ দিতে চায় না। যদি ফল ৪০-এর কম হয়, তখন আপনার ঋণ অনুমোদনের ভাল সুযোগ তৈরি হবে।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।