পাসওয়ার্ড দস্যুরা কিছুই ছাড়ছে না। এমনকি, আয়করের পোর্টালে আপনি যেখানে লগ-ইন করেন সেই পোর্টালও নয়। আর একবার যদি দস্যুরা হানা দেয় জানবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সব চলে যাবে তাদের হাতেই।
এই হানা থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে আয়করের নতুন পোর্টালে এসেছে ই-ভল্ট ব্যবস্থা। দেখে নিন কী ভাবে চালু করবেন আয়কর পোর্টালের ই-ফাইলিং ভল্ট যাতে নিজের তথ্য সুরক্ষিত থাকে।
এখনও পর্যন্ত আমরা রিটার্ন দেওয়ার সময় বা আয়কর সংক্রান্ত নানান তথ্যের খোঁজে প্যান কার্ড নম্বর, পাসওয়ার্ড আর জন্মদিন দিয়ে ঢুকতাম আয়করের সাইটে। ই-ফাইলিং ভল্ট হল পাসওয়ার্ড পেরিয়ে সুরক্ষার দ্বিতীয় স্তর। এর প্রথম পদক্ষেপে আপনি আগের মতোই পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকুন ই-ফাইলিং পোর্টালে।
এ বার আপনার প্রোফাইলে ঢুকুন। ক্লিক করুন ‘ই-ফাইলিং ভল্ট হায়ার সিকিউরিটি’-তে
ক্লিক করলেই আপনার সামনে উঠে আসবে দুটো পছন্দ। একটা হল “সেট হায়ার সিকিউরিটি ফর লগ-ইন” আর আর একটা হল ‘সেট হাইয়ার সিকিউরিটি ফর পাসওয়ার্ড রিসেট।’
প্রথমটা হল আপনার পোর্টালে ঢোকার জন্য সুরক্ষার আর এক স্তর। আর দ্বিতীয়টা হল যাতে চট করে আপনার অজান্তে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করে বদলিয়ে না ফেলতে পারে তার ব্যবস্থা। মনে রাখবেন একবার যে পথ আপনি খুঁজে নেবেন, আবার সে পথেই হেঁটে আপনাকে পোর্টালে ঢুকতে হবে। আপনি যদি নেটব্যাঙ্কিং পছন্দ করে নেন যে কোনও একটির জন্য তা হলে আপনাকে সেই কাজটা করতে পোর্টাল খোলার জন্য নেটব্যাঙ্কিং-ই ব্যবহার করতে হবে।
ধরুন আপনি বেশি ঝামেলায় না গিয়ে যে ফোন নম্বর আধার তৈরির সময় লিখিয়েছিলেন সেই ফোনে ওটিপি পাওয়াই পছন্দ করলেন। তাহলে ক্লিক করুন ‘জেনারেট ওটিপি’ লেখা গোলটিতে। তারপর টিপুন কন্টিনিউ।
এর পরেই আসবে আধার নিয়ে আপনার সম্মতির প্রশ্ন। বাক্সে ক্লিক করে আপনার সম্মতি জানিয়ে ওটিপি পাঠাতে বলুন জেনারেট আধার ওটিপি বাক্সটি টিপে।
এ বার আপনার মোবাইলে আসা ওটিপি বসিয়ে দিন। একই রাস্তায় হেঁটে পাসওয়ার্ড বদলকেও সুরক্ষিত রাখতে পারেন আপনি।
যদি আপনি আবার পুরনো পদ্ধতিতে ফিরতে চান ক্লিক করুন ‘ই-ফাইলিং ভল্ট হায়ার সিকিউরিটি’ আর ডিসেবেল করুন এই সুরক্ষা। ওটিপি জেনারেট করার বোতাম টিপলেই আপনার সামনে উঠে আসবে এই অপশন। কন্টিনিউ না টিপে ডিসেবল টিপলেই হবে।