প্রতীকী ছবি
গ্রামের অনেকেই শহরে কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে খাওয়ার অভাব নেই। সেই অর্থে অভাবীই বলা যায় না।তবুও কেন বাড়ি আর পরিবার ছেড়ে শহরে কাজের খোঁজে ঘুরে বেড়ান অনেকেই? এই প্রশ্ন করলেই যে উত্তরটা আমরা পাই তা শুনে অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না কারণটার মর্মার্থ। যেমন ধরুন বিশ্বনাথের কথাই। বিশ্বনাথের গ্রামের বাড়িতে পুকুর আছে। সেই পুকুরে মাছের চাষ হয়। সবজির বাগানে যা ফলন তাতে বছর ভর বাজার থেকে কিছু কিনতে হয় না। জমিতে যা চাষ হয় তাতে সারা বছর পরিবারের প্রয়োজন মিটেও বাজারে বিক্রি করার মতো উদ্বৃত্ত থাকেই। বছর শেষে বাজারে জমির ফসল বিক্রি করে বেশ কিছু নগদও ঘরে আসে। তবুও বিশ্বনাথ শহরে গাড়ি চালান কেন?
বিশ্বনাথের উত্তর সোজা। জীবনযাপনের জন্য নগদেরও প্রয়োজন। এবং সেই নগদের যোগানের একটা বড় অংশ নিয়মিত না হলে সমস্যা। আর তাই দেশের বাড়িতে সব থাকা সত্ত্বেও বিশ্বনাথ শহরে পড়ে রয়েছেন।
আমরা যখন সঞ্চয় করি তখন কিন্তু অনেক সময়ই মাথায় থাকে না নগদের সংস্থান করার কথা। আবার অনেকেই আছেন যে নগদ নিয়ে এতটাই ভাবেন যে পুরোটাই ব্যাঙ্কে রেখে দেন সঞ্চয়ের নামে। এই দুটোর কোনওটাই কিন্তু ঠিক নয়। সঞ্চয় বিশেষজ্ঞরা বলেন তিন থেকে ছয় মাসের নগদের যোগান থাকাই যথেষ্ট। কিন্তু কী ভাবে করবেন সেই অঙ্ক? অথবা জানবেনই বা কী ভাবে যে আপনার নগদ যোগান যথেষ্ট কিনা? অঙ্কটা কিন্তু খুব সোজা।
প্রথমেই কষে ফেলুন নগদ কত আছে। এতে চট করে ভাঙানো যায় এমন সঞ্চয়কেও ধরতে ভুলবেন না। এবার হিসাব করুন আপনার প্রতি মাসের খরচ। আর নগদের অঙ্ককে ভাগ করুন মাসিক গড় খরচ দিয়ে। যদি তা ৩ এবং ৬ এরমধ্যে থাকে তাহলে আপনার নগদ যোগান ঠিক আছে। কম থাকলে নগদ সঞ্চয়ে জোর দিতে হবে। আর যদি ৬ এর বেশি হয় তা হলে আপনার নগদের যোগানে উদ্বৃত্ত আছে। এই উদ্বৃত্তকে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করে রিটার্ন বাড়ান।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।