ধরা যাক, নতুন বছরে বাড়ি বা গাড়ি কেনার শখ শেষমেশ পূরণ করবেন ভাবছেন। বহু দিনের জমানো পুঁজি ছাড়াও বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে কেনার দিকে এগোবেন, তখনই জানতে পারলেন বাড়তি ট্রান্সফার বা ব্যালেন্স ট্রান্সফারের কথা। যে কোনও ধরনের ঋণ, যেমন গাড়ি, বাড়ি, ব্যক্তিগত বা শিক্ষা কোনও ঋণের ক্ষেত্রেই ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুযোগ মেলে প্রায় সব ব্যাঙ্কেই।
কী এই ব্যালেন্স ট্রান্সফার? জানতে চোখ বুলিয়ে নিন এই প্রতিবেদনে।
ঋণ নেওয়ার সময়ে মূলধনের যে অংশ বাড়তি হিসাবে হাতে থেকে যায়, তাই ব্যালেন্স। অনেক ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে স্থায়ী আমানতে রাখা যায়। অনেকেই এই পদ্ধতির কথা জানেন না বলে এই সুযোগ এড়িয়ে যান। অথচ এই পদ্ধতির সাহায্যে খুব সহজে ঋণের চড়া সুদের হার থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সুদের হারও কিছুটা মকুব হয়।
বিশেষত, বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে এই উপায় খুবই প্রয়োজনীয়। এতে বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা একটু হলেও কমে।
ব্যালেন্স ট্রান্সফারের দিকে পা বাড়ানোর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং কোন কোন প্রকল্পে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যায় এবং কতটা সুদ মেলে সব সরাসরি জেনে নিন। এতে আপনারও স্পষ্ট ধারণা থাকবে এই অঙ্ক নিয়ে। এর মধ্যে বাড়তি মূলধন কত রয়েছে, কত দিনের জন্য রাখা যাবে, সুদের হার কী আর কার নামে চেক আসবে, এই সব জেনে নেওয়া দরকার।
আর এক পদ্ধতিতেও ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যায়। তা হল বাড়তি টাকা আপনারই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিন। এতে যে ব্যাঙ্ক থেকে আপনি ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের এই পথেই ফেরত দিতে থাকবেন ক্রমশ। গৃহঋণের ক্ষেত্রে অন্তত তিন থেকে চার বছরের জন্য টাকা লক-ইনের ব্যবস্থা করে নিন। এতে আখেরে লাভ আপনারই!
(বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।)