প্রতীকী ছবি
কোভিডের পর থেকে সমগ্র বিশ্বেই অর্থনৈতিক বাজারে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যত দিন যাচ্ছে, বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। ব্যাঙ্কে কমছে সুদের হার। অথচ অবসর কালে মানুষের ভরসা তো ব্যাঙ্কের জমানো টাকা এবং তার উপরে পাওয়া সুদ। সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন রয়েছে। তাঁদের সমস্যা কিছুটা হলেও কম। কিন্তু বেসরকারি কর্মীদের তো তা-ও নেই।
এই অবস্থায় বয়স্কদের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। অবসরের পরে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবেই ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প নিয়ে আসে।
প্রবীণ নাগরিকেরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা এই প্রকল্পের অধীনে জমা রাখতে পারেন এবং সেই টাকার উপরে সুদ পাবেন তাঁরা।
তবে এই প্রকল্পে টাকা রাখার বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। কী সেই নিয়ম? দেখে নিন এক ঝলকে।
কোনও ব্যাক্তির বয়স ৬০ বছর হলে তবে তিনি এই প্রকল্পে টাকা রাখতে পারবেন। তবে কেউ যদি চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ছেড়ে দেন, তিনি পঞ্চান্ন বছর বয়সের পরেই এই প্রকল্পে টাকা রাখতে পারবেন। এ ছাড়া কেবল অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানেরা পঞ্চাশ পেরোলে এই প্রকল্পের অধীনে টাকা রাখতে পারেন।
ন্যূনতম ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা অবধি এই প্রকল্পের অধীনে জমা রাখা যেতে পারে। কেউ যদি বিবাহিত হন, তা হলে স্বামী-স্ত্রী যুগ্ম অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
এই প্রকল্পের লক-ইন মেয়াদ পাঁচ বছর। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে ন্যূন্যতম পাঁচ বছর টাকা রাখতেই হবে। চাইলে এই মেয়াদ পরে আরও তিন বছরের জন্য বাড়াতে পারেন।
যদি কোনও কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই কেউ টাকা তুলে নিতে চান, তা হলে গ্রাহককে জরিমানা দিতে হবে। যদি এক বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগে টাকা তুলে নিতে চান, তা হলে জমানো টাকার ১.৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হবে। আর যদি দু’বছর অ্যাকাউন্ট চালানোর পরে বন্ধ করতে চান, তা হলে এক শতাংশ জরিমানা দিতে হবে।
অবসরকালীন সময়ে এই প্রকল্পের অধীনে লগ্নি করলে আয়করের ৮০সি ধারা অনুযায়ী আয়করের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।