ধন্যি ঢুলুবাবু

টালিগঞ্জের প্রবীণতম পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। এখন ৯৫। কেমন আছেন তিনি? দেখে এলেন ঋজু বসু।হাড়ভাঙা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গোবর্ধন চৌধুরীর কথাটা ফলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে। কলকাতার সর্বমঙ্গলার কাছে এক ডজন গোলে হারলেও চ্যাম্পিয়নদের প্রেসিডেন্ট কালীগতিবাবুকে (উত্তমকুমার) চিঠিটা লেখেন গোবর্ধন (জহর রায়)। মনে করিয়ে দেন, “তোমার সংসারের পেনাল্টি-বক্সে যে জ্যান্ত বলটা পাঠিয়েছি, তা চেষ্টা করেও কোনও দিন ফেরাতে পারবে না!”

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৪ ০০:০০
Share:

হাড়ভাঙা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট গোবর্ধন চৌধুরীর কথাটা ফলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে।

Advertisement

কলকাতার সর্বমঙ্গলার কাছে এক ডজন গোলে হারলেও চ্যাম্পিয়নদের প্রেসিডেন্ট কালীগতিবাবুকে (উত্তমকুমার) চিঠিটা লেখেন গোবর্ধন (জহর রায়)। মনে করিয়ে দেন, “তোমার সংসারের পেনাল্টি-বক্সে যে জ্যান্ত বলটা পাঠিয়েছি, তা চেষ্টা করেও কোনও দিন ফেরাতে পারবে না!”

কার কথা বলা হচ্ছে, বাংলা ছবির আট থেকে আশি কোনও দর্শকের তা ধরতে অসুবিধে হবে না। হাড়ভাঙার শিল্ডের সেই ম্যাচের সূত্রেই গোবর্ধনের ভাগ্নি মনসা (জয়া ভাদুড়ী) ও কালীগতির ভাই বগলার (পার্থ মুখোপাধ্যায়) চার হাত এক হয়ে যায়। আর চার দশক বাদে কলকাতায় এসে ‘ধন্যি মেয়ে’র সেই ‘জ্যান্ত বল’, আজকের জয়া বচ্চন জোর গলায় বলে যান, “এখনও দুনিয়ার যেখানেই যাই, বাঙালি মাত্রই আমায় দেখে ‘ধন্যি মেয়ে’ বলে ছুটে আসেন।”

Advertisement

দু’বছর আগের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সেই উদ্বোধনী-সন্ধ্যায় দেশ-বিদেশের তারাদের ভিড়েও মঞ্চে তৈরি হয়েছিল একটি অবিস্মরণীয় সাব-প্লট। যখন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে দেখে উদ্বেল জয়া ছুটে যাবেন, “সাবিত্রীদি, ধন্যি মেয়ে” বলে!

এই শহরেই টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর পাড়ায় এক মধ্যবিত্ত অন্দরমহলে তখন নিজের ঘরে বন্দি এক বৃদ্ধ। চোখে ঝাপসা দেখেন বলেই টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছেন কয়েক বছর। কাছাকাছি বসে চেঁচিয়ে কথা বললে শুনতে পান। কিন্তু মনে-মনে এখনও সেই ধন্যি মেয়ে, অগ্নীশ্বর-এর সময়ের ফ্লোরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি চিত্রপরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের থেকেও বছর চারেকের বড়। বয়সের নিরিখে এই মুহূর্তে টলিউডের ফার্স্ট সিটিজেন। ইন্ডাস্ট্রির ঢুলুদা বা ঢুলুবাবু। এই ৯৫ বছরে সে-নামে তাঁকে ডাকার লোক যদিও হাতে গোনা!

অরবিন্দবাবুর ধন্যি মেয়ে একটি উদাহরণ। সেলুলয়েডের এমন অজস্র প্রিয় চরিত্র, দৃশ্য, গানের মুহূর্ত, সরস ডায়ালগে আমবাঙালির মনের পেনাল্টি-বক্স বার বার টপকে গিয়েছেন তিনি। বর্ণচোরা, নতুন জীবন, পিতাপুত্র, নায়িকার ভূমিকায়, নিশিপদ্ম, ধন্যি মেয়ে, অগ্নীশ্বর, অজস্র ধন্যবাদ থেকে হুলুস্থূল সিনেমাখোর দর্শক সেই গোল ফেরাতে চায়নি।

বাঙালি মাত্রই তাঁকে দেখে আজও ছুটে আসেন ‘ধন্যি মেয়ে’ বলে।

এ যুগের ব্যস্ত চলচ্চিত্র-পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও দিন দেখা হয়নি অরবিন্দবাবুর। কিন্তু তিনিও অরবিন্দে আচ্ছন্ন বাঙালি। ওঁর কথা শুনেই সৃজিত সাগ্রহে বলছেন, “আমার তো ফিল্ম স্কুল ছিল না! এঁরাই আমার গুরু!” সৃজিতদের আহরণে বাংলা ছবির দু’টো ঘরানাই পড়বে। এক দিকে সত্যজিত্‌, ঋত্বিক, মৃণালদের ছবির উত্‌কর্ষের ঘরানা, অন্য দিকে গল্প বলার ওস্তাদরা। শুধু তপন সিংহ, তরুণ মজুমদারই নন। নির্মল দে, অজয় কর, বিভুতি লাহা (অগ্রদূত), অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, সরোজ দে (অগ্রগামী), পার্থপ্রতিম চৌধুরী, পিনাকী মুখোপাধ্যায়রা রয়েছেন।

সেই নিউ থিয়েটার্সের যুগ থেকে আশির দশকের মাঝপর্ব অবধি বাংলা ছবির একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের গল্প অরবিন্দের স্মৃতির ঝাঁপিতে বন্দি। তবে ভেবে ভেবে কথা বলতে কষ্ট হয়। নিজের ছবির কথা তুলতে তিনটি ছবির কথা বললেন। “আমার প্রথম ছবি ‘কিছুক্ষণ’টাই সব থেকে ভাল! তারপরে ‘অগ্নীশ্বর’! আর ফুটবল নিয়ে যে ছবিটা করেছিলাম!” ‘ধন্যি মেয়ে’ নামটা মনে করতে পারলেন না।

ধন্যি মেয়ে-র ‘মনসা’ (জয়া) কিন্তু মেয়ের বিয়েতে মুম্বইয়ে নেমন্তন্ন করেন অরবিন্দকাকাকে। তিনি যেতে না-পারলেও কবিতা লিখে জবাব দিয়েছিলেন। আর উত্তমকুমারের ‘অগ্নীশ্বর’ দেখে অমিতাভ বচ্চনও চেয়েছিলেন হিন্দিতে চরিত্রটি করতে। অরবিন্দবাবুকে দিয়ে চিত্রনাট্য তৈরির কথা হলেও কাজটা বাস্তবায়িত হয়নি। সমরেশ বসুর ‘নাটের গুরু’ অবলম্বনে অরবিন্দবাবুর ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল উত্তম-সুচিত্রার। উত্তমের মৃত্যুর পরে সুচিত্রা সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে ছবিটি করানোর তোড়জোড় করেন। তবে সেই কাজটিও হয়নি।

মৌচাক, ধন্যি মেয়ে, নিশিপদ্ম-র অন্যতম প্রধান চরিত্র সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “ঢুলুদা আমার কাছে ঈশ্বরের মতো! কত বিষয়ে কথা বলতেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যেত! নিজে অভিনয় করলেও দারুণ করতেন। আর জানতেন অ্যাক্টরদের সেরাটা বার করে আনতে।” আহ্বান, বর্ণচোরা, নতুন জীবন-এর সন্ধ্যা রায় এই ভোটের আগেও প্রণাম করতে গিয়েছিলেন ঢুলুদাকে। বলেন, “উনি আমার একজন অভিভাবক! ভোটে জিতে এসেছি। আবার প্রণাম করে আসব।”

২০১৪-র এই দুনিয়াটা অবশ্য অরবিন্দবাবুর কাছে না-দেখা, ভাসা-ভাসা শোনা সিনেমার মতোই অস্পষ্ট। সন্ধ্যা বা সুচিত্রার মেয়ের (মুনমুন সেন) ভোটে লড়ার কথা শুনেছেন।

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের পাশে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, উত্‌পল দত্ত, শোভা সেন, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় ও অন্যরা।

বললেন, “শুনলাম কী সব আপসেট হয়েছে! সিপিএম না কি অনেক জায়গায় জিততে-টিততে পারেনি!” নাতনি ঝিনুক খবরের কাগজ পড়েন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনান অরবিন্দবাবুকে। আর আসক্তি বলতে এখন জলখাবারে ‘ম্যাগি’ বা শেষপাতের এক-আধটা সন্দেশ।

সমসময়ের সঙ্গে সংযোগ এটুকুই! বড় ছেলে অভিজিত্‌ বলছিলেন, বাবা বরং অনেক পুরনো প্রসঙ্গ, শিশির ভাদুড়ী, শরত্‌চন্দ্র থেকে রবীন্দ্রনাথের কথাও মাঝেমধ্যে বলতে থাকেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহচর্য পাওয়া মুষ্টিমেয় জীবিত মানুষদের একজন অরবিন্দবাবু। তাঁর বড়দা সাহিত্যিক বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়)। শান্তিনিকেতনে পড়ার সময়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা হতে কিছুটা চেঁচিয়ে বলেন, “আমি বলাইয়ের ভাই!” তীক্ষ্ম স্বর শুনে কবির ঝটিতি জবাব: “তোমার নাম কী সানাই!”

শান্তিনিকেতনে সহপাঠী সত্যজিত্‌ রায়ের সঙ্গে পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। রামকিঙ্কর বেজের নির্দেশনায় নাটকে নায়ক-নায়িকা অরবিন্দ ও সুচিত্রা মিত্র। শিক্ষক ক্ষিতিমোহন সেনদের পরিশীলিত রসবোধেরও সাক্ষী। আবার যৌবনে কলকাতার পাইকপাড়ায় তারাশঙ্কর-শৈলজানন্দ-নরেন মিত্তিরদের সান্নিধ্য, সজনীকান্ত দাসের ‘শনিবারের চিঠি’র আড্ডাও জড়িয়ে অরবিন্দের নির্মাণে।

সদ্যস্বাধীন ভারতে নিউ থিয়েটার্সের মূল্যবোধের সিনেমার আদর্শের সঙ্গে এই বিচিত্র সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারও মিশে ছিল তাঁর ছবিতে। সাহিত্যধর্মী, সংলাপময় ছবি তৈরির মন্তরটা নিউ থিয়েটার্সের বীরেন সরকারই অরবিন্দ ও তাঁর সমসাময়িকদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। বীরেনবাবু বলতেন, “ভদ্রঘরের, সুরসিক ছেলেমেয়েদের জন্যই সিনেমার গল্প! আবার তথাকথিত ‘ছোটলোক’রাও তা দেখে ভদ্র হয়ে বাড়ি ফিরবে!” বছর ছয়েক আগের এক স্মৃতিচারণে নিজেই বলেছিলেন অরবিন্দবাবু।

উত্তমকুমার ও মিঠু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

চিত্রনাট্য নিজে লিখতেন। আহ্বান-এ ধর্মীয় সম্প্রীতি। নতুন জীবন-এ সত্‌, শিক্ষানুরাগী আদর্শ নায়ক ও ধনী কন্যার প্রেম। কিন্তু যুগের সঙ্গে এগোতে তাঁর ছবিতে আরও কিছু খুঁজছিলেন অরবিন্দ। তাঁর নিজেরই কথা, “হাসির ছবি সব থেকে শক্ত।” সেই কাজটাও মুন্সিয়ানার সঙ্গে করে দেখিয়েছেন, বললেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। “কিছু কিছু আঞ্চলিক কিন্তু মৌলিক মজা থাকে, সেগুলো চমত্‌কার ফুটিয়ে তুলেছেন অরবিন্দবাবু।” হাড়ভাঙা ও সর্বমঙ্গলার নানাবিধ টক্কর, নায়ক-নায়িকার ঘুঁটের মালা পরানোর রোম্যান্স বা মৌচাক-এ একটি ছোট্ট চরিত্রে দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুলগল্প মেশানো বাকতাল্লার অনেক সিন-ই মুখস্থ অনিন্দ্যর। টালা ব্রিজের কাছে বাসস্টপে দেখা হওয়া আনকোরা দুর্গাদাসবাবু অরবিন্দের এক আবিষ্কার। প্রথম ছবি কিছুক্ষণ-এই তাঁকে পরখ করেছিলেন।

“ফিল্মে গানের প্রয়োগেও অরবিন্দ কাকার মতো পরিচালকের বিরাট ভূমিকা। গানটা বুঝতেন তিনি,” বললেন সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ। অরবিন্দের বহু ছবির সুরস্রষ্টা নচিকেতা ঘোষের পুত্র সুপর্ণকান্তি ‘বাঙালির তুমি ফুটবল’ থেকে বহু গানেই বাজিয়েছেন। অরবিন্দবাবুর ভাবনায়, ফিল্মে গান হবে সিচুয়েশনাল, প্রক্ষিপ্ত নয়। আবার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের ‘আজ রাতে আর যাত্রা শুনতে যাব না’-র লিরিক শুনে গানটির কথা ভেবেই নিশিপদ্ম-র চিত্রনাট্য পাল্টেছেন। বিভিন্ন গীতিকারকে দিয়ে চেষ্টা করিয়ে প্রণব রায়ের লেখা, ‘এ ব্যথা কী যে ব্যথা’-ই বাছাই করেন ধন্যি মেয়ে-তে। হেমন্তের ‘এখানে সবই ভাল’, ‘লাজবতী নুপূরের রিনিঝিনিঝিনি’, সন্ধ্যার ‘তিরবেঁধা পাখি’, ‘আমার সকল সোনা’, শ্যামল মিত্রের ‘আহা গোলাপগুলি’, ‘রাজার পঙ্খী উইড়া গেলে’, বা মান্নার ‘এ বার ম’লে সুতো হব’ কী ‘যা খুশি ওরা বলে বলুক’-এর মতো গানের জন্য অরবিন্দের ছবির কাছে বাঙালির ঋণ জন্মেও শোধ হবে না।

“কিন্তু পথের পাঁচালী-পরবর্তী যুগে বহু পরিচালকই বাঙালির কাছে কাব্যে উপেক্ষিত হয়ে থেকেছেন। অরবিন্দবাবু তাঁদেরই একজন।” বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজের শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। অরবিন্দবাবুর উপরে একটি তথ্যচিত্রের কাজ করতে গিয়ে নির্মাতারা দেখেছিলেন, ওঁর প্রথম ছবি, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ‘কিছুক্ষণ’ বা ‘বর্ণচোরা’র প্রিন্ট খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।

অরবিন্দবাবু নিজে অবশ্য কার্যত এ-সব তাপ-উত্তাপের উর্ধ্বে। আপন মনের বিক্ষিপ্ত কথায় ডুবে আছেন সিঁথির হারিয়ে যাওয়া এমপি স্টুডিও বা নিউ থিয়েটার্স-এর সাধনার দিনগুলোতেই। ‘শেষ দিকে দারুণ ম্যাচিওর হওয়া উত্তম’, ‘অসম্ভব পরিশ্রমী সুচিত্রা সেন’, ‘আউটস্ট্যান্ডিং তুলসী চক্রবর্তী’ কী পাইকপাড়ার প্রতিবেশী ‘ক্লাস অ্যাক্টর’ প্রেমাংশু বসু-অনুপ কুমারদের কথা উঠলে শুধু চোখ জ্বলজ্বলিয়ে ওঠে।

যেন বিছানায় আধশোয়া হয়েই তখন অদৃশ্য লোকেশনে চলে গিয়েছেন, ক্যামেরার ভিউফাইন্ডারে চোখ রাখছেন পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

ক্ল্যাপস্টিক

• প্রথম ছবি ‘কিছুক্ষণ’। সেই ছবিতেই রবি ঘোষের প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়।

• ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে প্রথম নায়কের ভূমিকার পরিবর্তে অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তমকুমার। উত্তমকুমার অভিনীত ‘অনঙ্গ দত্ত’ চরিত্রটি মূল গল্পে ছিল না। ওটি অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের সংযোজন। তারপর একে একে ছক ভাঙা নায়কের চরিত্রে মহানায়ককে দেখা যায় অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়েরই ‘অগ্নীশ্বর’, ‘মৌচাক’, ‘ধন্যি মেয়ে’ ইত্যাদিতে। ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গানের জন্য মান্না দে ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পান।

• ‘নিশিপদ্ম’র হিন্দি রূপান্তর ‘অমরপ্রেম’ করেন শক্তি সামন্ত। চিত্রনাট্য অরবিন্দবাবুর।

• ‘ধন্যি মেয়ে’-তে জয়া ভাদুড়ি প্রথম নায়িকার ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান।

• ‘শীলা’ ছবিতে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় প্রথম নায়ক হন।

• রানাঘাটে তাঁর ‘আহ্বান’ ছবির আউটডোরের সময় পরবর্তী কালের বিখ্যাত নায়িকা রাখীর আবিষ্কার। এর পর ছবির নায়িকা সন্ধ্যা রায় রাখীকে কলকাতায় আনেন।

• ‘নদী থেকে সাগরে’ ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী প্রথম বাংলা ছবির নায়ক হন। দেবশ্রী রায় হন প্রথম নায়িকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement