Music Show

গানের স্মৃতি-সত্তা

অনুষ্ঠানে ছিল সংবর্ধনা-পর্বও। এই সময়ের বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতায়োজক এবং এ সন্ধ্যার বাদ্যযন্ত্র-শিল্পীদের সম্মানিত করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানের সঙ্গত-আয়োজন ছিল অনবদ্য।

Advertisement

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৯:২৫
Share:

অনুষ্ঠানে মনোময় ও শ্রীকান্ত —নিজস্ব চিত্র।

রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে, ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হল ‘গান পিছুটান’ শীর্ষক আয়োজন। সুসজ্জিত মঞ্চে সুচিন্তিত ভাবে বিন্যস্ত কয়েকটি পর্বে গান শোনালেন শ্রীকান্ত আচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য। উপচে পড়া ভিড় ছিল অনুষ্ঠানে। গোটা আয়োজনে উল্লেখ-অনুল্লেখে ছিল বেশ কয়েকটি বিভাগের ভাবনা।

Advertisement

প্রথম ভাগ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কাজী নজরুল ইসলামের গান। রবীন্দ্রগানের পরিসরে শ্রীকান্তের মাপা-মার্জিত পরিবেশনা এ সন্ধ্যার আয়োজনে যেমন মাধুর্য ছড়াল, তেমনই রাগাশ্রয়ে মনোময়ের সাবলীলতা নজরুলের গানের পরিবেশনায় শ্রুতি-সার্থক হয়ে উঠল। এই পর্বের উপস্থাপনায় আরও একটি বিশেষত্ব ছিল। তা হল রাগরূপের নিরিখে গানের নির্বাচন। বাংলা কাব্যগীতির এই দুই মহিমময় স্রষ্টার একই রাগ-রাগিণী বা তাদের অনুষঙ্গে বাঁধা বেশ কয়েকটি রচনা পরিবেশিত হল। নজরুলের ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’, রবীন্দ্রনাথের ‘তোমার হল শুরু আমার হল সারা’। নজরুলের ‘পোহাল পোহাল নিশি খোলো গো আঁখি’, রবীন্দ্রনাথের ‘অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া’। মন ভরিয়ে দিলেন দুই শিল্পী। এই পর্বে শ্রীকান্তের কণ্ঠে ‘দীপ নিবে গেছে মম’ অতুলনীয়। অনবদ্য মনোময়ের গাওয়া কীর্তনাঙ্গের ‘মম মানস-মাধবীলতার কুঞ্জে’।

দ্বিতীয় পর্বে শিল্পীরা এলেন কয়েক দশক আগে ফেলে আসা উজ্জ্বল গান-দিনে। গাইলেন সে সময়ের সঙ্গীত-নক্ষত্রদের কিছু গান। সে আবহ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়দের। ছিল জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের গানও। ‘কেন দূরে থাকো’, ‘অভিমানে চলে যেয়ো না’, ‘আমি এত যে তোমায় ভালবেসেছি’, ‘কেউ বলে ফাল্গুন’— মাইলফলক তৈরি করা একের পর এক গানের পরিবেশনায় মুগ্ধ করলেন শিল্পীরা।

Advertisement

শেষ পর্ব শিল্পীদের নিজেদের বেসিক রেকর্ড বা ছবির জন্য গাওয়া গানের। তাঁদের কণ্ঠে জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করলেন তাঁরা। গাইলেন একে অন্যের গানও। সে সব গানের মধ্যে ছিল ‘মেঘপিয়নের ব্যাগের ভিতর’, ‘মনের মানুষ’, ‘মেঘ হলে মন’ প্রভৃতি।

অনুষ্ঠানে ছিল সংবর্ধনা-পর্বও। এই সময়ের বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতায়োজক এবং এ সন্ধ্যার বাদ্যযন্ত্র-শিল্পীদের সম্মানিত করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানের সঙ্গত-আয়োজন ছিল অনবদ্য। অনুষ্ঠান-মঞ্চে এসে তাঁর সাঙ্গীতিক সতীর্থদের অনুরোধে গান ধরেন ইন্দ্রনীল সেন। রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমণি’ গাওয়ার সময়ে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত শ্রোতাদেরও কণ্ঠ মেলাতে বলেন। সুন্দর মুহূর্ত তৈরি হয় সব মিলিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement