প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে অতিথি আসুক বা নিজেরাই খান, সুন্দর করে সাজানো টেবিলে খেতে কার না ভাল লাগে! তবে রোজ তো আর হাতে সময় থাকে না। অথচ কয়েকটা জিনিস হাতের কাছে থাকলেই টেবিলসজ্জার অনেকটা কাজ সেরে ফেলা যায়।
• টেব্ল লিনেন কিন্তু এখন ভীষণ ট্রেন্ডি। রেস্তরাঁয় এর ব্যবহার তো বাড়ছেই, তার সঙ্গে বাড়িতেও। তাই ঘরোয়া খাওয়াদাওয়ার আয়োজনেও ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন রঙের টেব্ল লিনেন। বাঙালি বাড়িতে ঝোলজাতীয় পদ রান্না হয় বলে খাবার পড়ে দাগ লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। সে জন্য গাঢ় রঙের লিনেন বেছে নিতে পারেন।
• লিনেনের উপর পাতুন টেব্ল ম্যাট। টেব্ল ম্যাটও হরেক রকমের হয়। পাটের, মাদুরের মতো, প্লাস্টিকের, আবার ওয়াটারপ্রুফ টেব্ল ম্যাটও কিনতে পাওয়া যায়। আপনার বাড়ির খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী বাছুন ম্যাট। শুকনো খাবারে অভ্যস্ত হলে বেতের বা হ্যান্ডমেড টেব্ল ম্যাট ব্যবহার করা যেতেই পারে।
• রানারও রাখতে পারেন হাতের কাছে। রোজ না পাতলেও অতিথিরা এলে রানার পেতে দিন টেবিেলর মাঝখানে। সুন্দর দেখাবে। টেবিল পরিষ্কার করাও সহজ হবে।
• এ ছাড়াও কয়েকটি বেতের বা কাচের কোস্টার রাখুন টেবিলে। যাতে ফ্রিজ থেকে বার করে জলের বোতল বা আইসক্রিমের বাটি টেবিলে রাখার সময়ে তার গায়ের জল যেন টেব্ল লিনেন নষ্ট না করে।
• প্লেটের উপরে ন্যাপকিন রাখতে পারেন। খাওয়ার সময়ে নিজের গলার কাছে গুঁজে নিলে জামায় খাবার পড়ার ভয় থাকবে না। অফিস-কলেজ যাওয়ার তাড়া থাকলে বাইরের পোশাকেও ন্যাপকিন গুঁজে নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
• একটি টিসু বক্স অবশ্যই রাখবেন টেবিলে। খাবারের ঝোল বা ঝাল গড়িয়ে টেবিলের কোথাও লেগে গেলে টিসু দিয়ে চট করে মুছে ফেলা যাবে। দাগ বেশি জমাট বাঁধবে না।
• ডাইনিং টেবিল ছাড়া বাড়ির টি টেবিলেও ব্যবহার করতে পারেন টেব্ল লিনেন। টি টেবিলে বেশি খাবার পড়ার ভয় নেই। ফলে হালকা রঙের সুতোয় বোনা লিনেন বা কুরুশের কাজ করা কভারও পাততে পারেন।
• টেবিলের উপরে ফুলদানি রাখলে তো কথাই নেই।
খাবার টেবিল সুসজ্জিত থাকলে, তাতে যে খাবারই পরিবেশন করুন, তার স্বাদ বাড়বে বই কমবে না। একাধিক স্তরে টেবিল ঢেকে রাখলে পরিষ্কার করাও তুলনায় অনেক সহজ হবে।