চুল না আঁচড়ালে, সেই কোন ছোটবেলায় শুনতেন যে, মাথাটা একেবারে পাখির বাসা হয়ে আছে। অর্থাৎ পাখির বাসা মানেই এলোমেলো, জট ধরানো, প্রায় জঞ্জালময় জায়গা বলেই ধরে নিই। পাখিরা যেমন খুশি খড়কুটো তুলে এনেই বানায় তাদের গৃহকোণ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাখির বাসা বা বার্ডহাউসের সংজ্ঞাও বদলেছে।
এখন তাই বার্ডহাউস আর শুধু পাখিকে আকৃষ্ট করার, তাকে ছোট্ট কুঁড়েঘর দেওয়ার নয়, বরং নিজের সাধের বাগানের রীতিমতো স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। আবার কেউ কেউ শুধু মাত্র সাজানোর জন্যও ব্যবহার করছেন এই বার্ডহাউস।
প্রাথমিক ভাবে একদম সহজ, সাধারণ বার্ডহাউস খানিকটা বাড়ির লেটারবক্সের মতো দেখতে। তবে এটি অবশ্যই কাঠের তৈরি এবং সামনের দিকে মাঝে একটি বেশ বড় গোল অংশ থাকে, যার মাধ্যমে চ়ড়াই জাতীয় ছোট পাখি অনায়াসে ঢুকতে বেরোতে পারে। এই সাধারণ কাঠের পাখির বাসা আবার রং করে সুদৃশ্য করে তোলা যায়।
বাড়িতে অনেক সময়েই নারকেল আসে। সেটা দিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় পাখির বাসা। তবে সে ক্ষেত্রে নারকেল অর্ধেক করে না ভেঙে ছোট গোল করে অল্প অংশ কেটে নিতে হবে। ভিতরের জল ও শাঁস বার করে, শুকিয়ে সেই বাসা ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে ব্যালকনি থেকে।
আবার কাঠের কিংবা প্লাই উডের ছোট ছোট তক্তা কেটে একদম সাবেক ভাবে বানাতে পারেন পাখির বাড়ি।
বাড়িতে পড়ে থাকা কর্ক কিংবা ওয়াইনের ছিপি দিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় বার্ডহাউস।
অনেকে আবার থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বার্ডহাউস বানাতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে পছন্দের সিনেমা কিংবা চরিত্রের আদলেও বানানো যায় তা।
সর্বোপরি বিভিন্ন ধরনের বার্ডহাউস কিনতে পাওয়া যায় অনলাইনে এবং পাখির দোকানে। এই বার্ডহাউসগুলি এতটাই সুদৃশ্য যে, পাখি না থাকলেও অনেকে শুধু মাত্র সাজানোর উপকরণ হিসেবেই ব্যবহার করেন বার্ডহাউস।
ফলে পাখি আসুক বা না আসুক, আপনি কিন্তু নির্দ্বিধায় বার্ডহাউসকে স্বাগত জানাতেই পারেন।