প্রতীকী ছবি: লেখিক সুচন্দ্রা বসু
সময়টা ৩০.০৬.২২। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে শ্রাবণেও সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে খরা। অথচ এই শ্রাবণের বৃষ্টিতেই মানুষ বিরক্ত হয়। অনাবৃষ্টির ফলে ধানক্ষেতে ফাটল ধরেছে। দিনের প্রখর রোদে মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছে। শ্রাবণ মাসে বৈশাখের এমন তাপে সেই বছর মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস এমন অবস্থায় বৃষ্টি নামাতে একমাত্র ভরসা ব্যাঙের বিয়ে। সেই বিশ্বাসেই গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় ব্যাঙের বিয়ে।
রীতিমতো বাজনা বাজিয়ে ব্যাঙ দম্পতিকে পাল্কিতে চড়িয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়েছে। এই বিয়ের আচারে গাত্র হরিদ্রা থেকে মালাবদল, সিঁদুর দান থেকে শুভদৃষ্টি কিছুই বাদ ছিল না। এই অনুষ্ঠানে আট থেকে আশি সকলেরই আমন্ত্রণ ছিল। আনন্দে মেতে উঠেছিল কচিকাঁচারা। অনাবৃষ্টির কারণে এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন। তাতে নাকি সুফলও পাওয়া গিয়েছিল!
ওই বিয়ের পরের দিন থেকেই প্রবল বৃষ্টি নেমেছিল গ্রামে। তাই অসময়ের খরা কাটিয়ে সঠিক সময়ে বৃষ্টি নামাতে ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে এখনও বর্ষার আশায় বুক বাঁধেন গ্রামের চাষীরা। বৃষ্টি হোক বা না হোক, বিশ্বাস করতে ক্ষতি কি? কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আসলে আমরা সবাই চাই আনন্দ। সত্যি কি সেটা হবে? আষাঢ়ে গল্প না ভেবে উৎসবে মাততেই ভালবাসি।