সরকারি ভাবে শুরু হল স্বাস্থ্য পরিষেবকদের নাম নথিভুক্তকরণ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি উদ্যোগে সোসাইটি ফর হেলথ অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক সার্ভেলেন্স (স্বাস্থ্য মানব সম্পদ সুমারি) -১৫ নাম দিয়ে বীরভূম জেলা থেকেই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবস্তরের ব্যক্তিদের বিশদ তথ্য রেজিস্টার করার কাজ অনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল বৃহস্পতিবার। এই উপলক্ষে সিউড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে এ দিন বিকেলে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শ্যামল মণ্ডল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বিধান রায় এবং ওই সংস্থার প্রজেক্ট ডাইরেক্টর তথা এসএসকেএমের চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। তাঁদের উপস্থিতিতে ট্যাবে ডেটা-এন্ট্রি করে তার সূচনা করেন সিএমওএইচ কার্তিক মণ্ডল। সরকারি ভাবে বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কার, আশাকর্মী, এমনকী হাতুড়ে চিকিৎসক অর্থাৎ সারা জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে কারা কারা কী ভাবে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করাই এর উদ্দেশ্য। যাতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তা সরকারের কাজে আসে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ডাইরেক্টর অভিজিৎবাবু। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম বীরভূম থেকেই সে কাজ শুরু হল। আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডেটাএন্ট্রি অপারেটররা জেলার প্রতিটি জায়গা থেকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “বীরভূম ও উত্তরদিনাজপুর এই দু’টি জেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এ কাজ শুরু হচ্ছে। একটি সংস্থা সফ্টওয়্যার বানিয়েছেন। তারাই ডেটাএন্ট্রি অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের কাজ হচ্ছে পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে জানানো। সরকারিভাবে যাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের তথ্য সরকারি ভাবে আমাদের কাছে রয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ইনফর্মাল ওয়েতে যাঁরা এ কাজ করে চলেছেন তাঁদের সকলের বিশদ তথ্য নথিভূক্ত করা। ২০ মার্চ পর্যন্ত এ কাজ চলবে।”