সুচিকিৎসার জন্য আর ভেলোর বা চেন্নাইয়ে ছুটতে হবে না। এ বার থেকে মাত্র দু’পা বাড়ালেই উন্নত পরিষেবা এবং সঠিক চিকিৎসা মিলবে বলে দাবি করলেন দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা দিবসে
এ কথা বলেছেন তিনি।
সত্যজিৎবাবু জানান, এত দিন দুর্গাপুরে মিশন হাসপাতালের শুধুমাত্র একটি ইউনিট ছিল। এ বার সাধারণ মানুষের স্বার্থে খুব তাড়াতাড়ি শাখা বাড়াচ্ছে এই হাসপাতাল। তিনি জানিয়েছেন, অন্ডালে প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের খুব কাছেই হাসপাতালের একটি নতুন ইউনিট হবে। শিলিগুড়িতেও জমি কেনা হয়ে গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এখানেও আর একটি ইউনিট খুলবে। ফলে উত্তর ভরতের যে-সমস্ত রোগী এখানে চিকিৎসা করাতে চান, তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি সত্যজিৎবাবু জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের এই হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ক্যান্সার ছাড়া সমস্ত রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আর আগামী বছরের মধ্যে খুলে যাবে ক্যান্সার চিকিৎসা বিভাগটিও।
সত্যজিৎবাবুর দাবি, প্রতিষ্ঠার পরে মাত্র ছ’বছরের মধ্যেই শুধু এ রাজ্য বা দেশের নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও চিকিৎসার জন্য রোগীরা আসছেন মিশন হাসপাতালে। তিনি জানান, এই কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তান থেকে ১৩৫ জন রোগী, বাংলাদেশ থেকে ১৫৫৬ জন, ভুটান থেকে ৫২৪ জন এবং নাইজিরিয়া থেকে ২৩৪ জন রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন এখানে। এমনকী এখন যেখানে দেশ জুড়ে বহু রোগী চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরেই ভরসা হারাচ্ছেন এবং সুচিকিৎসা পাওয়ার আশায় ভেলোর বা চেন্নাইয়ে ছুটছেন, সেখানে দক্ষিণ ভারত থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর সংখ্যা ১৫৮৯ জন।
তবে কোনও প্রচার করে বা এজেন্ট মারফত কিন্তু এই রোগীরা মিশন হাসপাতালের খোঁজ পাননি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিদেশ থেকে যে-সমস্ত রোগী আসছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া অন্য কোনও রোগীর কাছ থেকে এই হাসপাতালের খোঁজ পেয়ে তবে চিকিৎসা করাতে আসেন বলে জানিয়েছেন সত্যজিৎবাবু।