মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এ বার তথ্য-ব্যাঙ্ক পুরসভার

শহরের কোন ওয়ার্ডের কোন বাড়িতে মশার লার্ভা জমে, কোন বাড়ির ছাদে জল জমে এবং কোন কোন এলাকার বহুতল নির্মাণের কাজে জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে, তার তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। প্রায় ৯ হাজার পাতার ওই রিপোর্ট শীঘ্রই পুরসভার ওয়েবসাইটে দেবে পুর-প্রশাসন।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০৩:৫৪
Share:

শহরের কোন ওয়ার্ডের কোন বাড়িতে মশার লার্ভা জমে, কোন বাড়ির ছাদে জল জমে এবং কোন কোন এলাকার বহুতল নির্মাণের কাজে জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে, তার তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। প্রায় ৯ হাজার পাতার ওই রিপোর্ট শীঘ্রই পুরসভার ওয়েবসাইটে দেবে পুর-প্রশাসন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, ভেক্টর কন্ট্রোল দফতরের পরামর্শে স্বাস্থ্য দফতরের অফিসার ও কর্মীরা গত বছর থেকেই ১৪৪টি ওয়ার্ডের সব জায়গা ঘুরে ওই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

Advertisement

ভেক্টর কন্ট্রোল দফতরের এক অফিসার জানান, মশাবাহিত রোগ নিবারণে সবচেয়ে বড় সমস্যা জমা জল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জল জমানোর ব্যাপারে সচেতনার অভাব রয়েই গিয়েছে। ওই দফতরের বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাসের কথায়, “মশার বংশবৃদ্ধি রোধে এ বার প্রতিটি ওয়ার্ডে জমা জলের সূত্র অনুসন্ধানের উপরে জোর দেওয়া হয়। তা করতে গিয়েই শহরের অলিগলিতে কোথায় জল জমে থাকে, তার চিত্র তুলে ধরা গিয়েছে।” তিনি জানান, কোন এলাকায় পাতকুয়ো, পুকুর বা ডোবা আছে, তারও তথ্য রয়েছে ওই ব্যাঙ্কে। শহরের যে সব এলাকা ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু প্রবণ, তেমন জায়গায় প্রতিটি ঘর ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১১ সালে শহরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশ বেড়েছিল। চিন্তা বাড়িয়েছিল ম্যালেরিয়ার প্রকোপও। ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন। পুর-প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, বছরের শুরু থেকেই মশাবাহিত রোগ নিবারণে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হবে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে মশাবাহিত রোগ দমনে কোমর বেঁধে নামে পুর-প্রশাসন। তাতে অবশ্য এই দুই রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমানো গিয়েছে বলে মনে করেন পুর-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কী লাভ হবে এই তথ্য ব্যাঙ্ক থেকে? অতীনবাবু জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী শহরে মশাবাহিত রোগ নিবারণে সবচেয়ে জরুরি মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস করা। তা করতে হলে মশার প্রজনন কেন্দ্র কোথায় রয়েছে, তা জানা দরকার। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথায় তা রয়েছে, সবই জানা যাবে তথ্য ব্যাঙ্ক থেকে। তিনি বলেন, “শুধু প্রশাসন নয়, যে কেউ পুরসভার ওয়েবসাইট থেকে ওই তথ্য পেয়ে সতর্ক হতে পারবেন।” পুরসভা সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ওই তথ্য ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement