মর্গের সামনে দেহ চাঞ্চল্য শক্তিনগরে

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে মর্গের সামনে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবারর সকালে খবর জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুরসভার কাউন্সিলার-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন ভৌমিক (৪৭)। বাড়ি কৃষ্ণনগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সিপাড়া লেনে। তিনি কৃষ্ণনগর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:২০
Share:

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীকে মর্গের সামনে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবারর সকালে খবর জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুরসভার কাউন্সিলার-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন ভৌমিক (৪৭)। বাড়ি কৃষ্ণনগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সিপাড়া লেনে। তিনি কৃষ্ণনগর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।

Advertisement

হাসপাতাল ও পারিবার সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বোলতা কামড়ে অসুস্থ স্বপনবাবুকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে মৃতের ভাই শঙ্করবাবু এসে দেখেন রোগী বেডে নেই। সামান্য খোঁজাখুঁজির পর মর্গ চত্বরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ির লোকদের জানান। অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যেই হাসপাতালের কর্মীরা দেহটি নিয়ে গিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে ‘বেওয়ারিশ’ দেহ বলে রেখে দেন। ঘটনাটি চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দা-সহ স্থানীয় কাউন্সিলার কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রী হালদার। তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘সকালে বেডে দাদাকে দেখতে না পেয়ে নার্স থেকে শুরু করে ওয়ার্ডমাস্টার সকলের কাছে খোঁজ করি। কিন্তু কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি।” তিনি আরও বলেন, “ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে খোঁজাখুঁজি করার সময় দেখি মর্গের সামনে দাদার দেহ পড়ে রয়েছে। হাতে তখনও স্যলাইনের বোতল, চ্যনেল লাগানো আছে।’’ হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রী হালদার বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে কীভাবে রোগী বাইরে গেল সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে গাফিলতি প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement