প্রচুর পরিমাণে জীবনদায়ী ওষুধ নষ্টের অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত দু’দিন ধরে হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টোরের বাইরে এই ওষুধগুলি জমা করা হচ্ছিল। তা দেখেই বিষয়টি নজরে আসে হাসপাতালের চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ওষুধগুলির সমস্তই মেয়াদ উত্তীর্ণ। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “স্টোর পরিষ্কার করতেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ নষ্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তবুও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চিকিত্সকদের একাংশ।
সব মিলিয়ে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার ওষুধ স্টোরের বাইরে বার করা হয়েছে বলে দাবি। চিকিত্সকদের একাংশের বক্তব্য, ওষুধগুলি এতদিন কেন ফেলে দেওয়া হয়নি এবং কত টাকার ওষুধ নষ্ট করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। স্টোরের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনিও দায় এড়াতে পারেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
তবে সব্যসাচী বাবু জানান, অন্তত কুড়ি বছর স্টোর থেকে কোনও ওষুধ ফেলা হয়নি। স্টোর পরিষ্কার করা না হলে নতুন ওষুধের সঙ্গে এই সমস্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মিশে গিয়ে বিপত্তি হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নষ্টের ব্যাপারে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সুপার বলেন, “আমি দায়িত্বে আসার আগে কেন এই সমস্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নষ্ট করা হয়নি তা বলতে পারবো না। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ম মেনে নষ্ট করতে হয়। স্বাস্থ্য দফতর ও ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি দরকার হয়। সে সমস্তই নেওয়া হয়েছে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ওষুধ নষ্টের বিষয়টি খতিয়ে দেখা না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ডিএসও র সদস্য চিকিত্সক দীপক গিরি। আইএমএর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ শাখার নেতা সন্দীপ সেনগুপ্তও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।