হুগলি জেলা প্রশাসন এবং সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যেগে সদর চুঁচুড়ায় একটি হাসপাতাল চালু হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি জেলা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই হাসপাতালের শিলান্যাস করেন। কর্তৃপক্ষের আশা, চলতি মাসেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এক সময় চুঁচুড়ার পিপুলপাতি লাগোয়া এলাকায় রেডক্রশের একটি হাসপাতাল ছিল। সেখানে প্রসূতি ছাড়াও অন্যান্য রোগীরাও চিকিৎসা পেতেন। কিন্তু ক্রমেই হাসপাতালটির পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ২০০৪ সালে হাসপাতালটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হুগলি-চুঁচুড়া পুর কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটি ফের চালুর চেষ্টা করেন। স্থানীয় সাংসদ কোটার টাকায় হাসপাতাল ভবনটি নতুন করে করা হয়। কিন্তু তখন চিকিৎসা পরিষেবা সেইভাবে তখনই শুরু করা যায়নি সেখানে।
সম্প্রতি হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা এবং চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ফের উদ্যোগী হন হাসপাতালটি চালুর করার জন্য। এরপরই তাঁরা হাওড়ার সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। হাওড়ার ফুলেশ্বরে তাঁদের মূল হাসপাতালটি তাঁরা পরিদর্শন করেন। এরপরই তাঁদের উদোগে গতি আসে। বর্তমানে মূলত তাঁদের উদ্যোগেই ফের হাসপাতালটি শুরুর পথে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আপাতত প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি ফের চালু হতে যাচ্ছে। মোট ২৫টি শয্যা থাকবে হাসপাতালে। ক্রিটিক্যাল, ডায়ালিসিস এবং জেনারেল বেড নিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু করা হচ্ছে হাসপাতালটি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবাও সেখানে মিলবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। প্রথমে বহির্বিভাগ চলতি মাসেই শুরু হয়ে যাবে। পরে অন্য বিভাগও চালু হওয়ার কথা। জেলাশাসক বলেন,“নতুন এই হাসপাতালে উন্নত ও অত্যাধুনিক চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা থাকবে।”
রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই নতুন সরকার ঘোষণা করেছিল, চিকিৎসা ক্ষেত্রে পাবলিক, প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাঁদের যুক্তি ছিল, আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য সব ক্ষেত্রে সরকার ইচ্ছে থাকলেও কাজ করতে পারছে না। সে জন্য পিপিপি মডেলকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। চুঁচুড়ার হাসপাতালটিও সেই উদ্যোগেরই ফসল বলে মনে করা হচ্ছে। সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বাসুদেব হুই বলেন, “চলতি মাসেই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। তারপরই হাসপাতালের কাজ শুরু হয়ে যাবে। হাসপাতালের চিকিৎসার খরচও সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিপিএল এবং অন্যান্য সরকারি কার্ডধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।”
অস্বাভাবিক মৃত্যু। ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় গলায় ফাঁস দেওয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দননগরের বোসপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায় মৃতের নাম আমিশা আইচ (১৪)। পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।