থুতু পরীক্ষা বন্ধ রাখায় প্রশ্নের মুখে নাইসেড

রোগ বড় বালাই। দোলের দোহাই না-মেনে সোয়াইন ফ্লু-র দাপট চলছেই। রোগীর ভিড় বিভিন্ন হাসপাতালে। কিন্তু রোগ পরীক্ষা করবে কে? নাইসেডে ওই মারণ রোগ পরীক্ষার কাজই যে বন্ধ! সোয়াইন ফ্লু দাপিয়ে বেড়ানো সত্ত্বেও ওই রোগ পরীক্ষার একমাত্র সরকারি কেন্দ্র, বেলেঘাটার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেজ (নাইসেড)-এ থুতুর নমুনা পরীক্ষা বন্ধ কেন? দোলের দিন ঠিকই। কিন্তু বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, সোয়াইন ফ্লু পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠা সত্ত্বেও জরুরি পরিষেবা হিসেবে নাইসেডে রোগ পরীক্ষা চালু রাখা হল না কেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০২:০৯
Share:

রোগ বড় বালাই। দোলের দোহাই না-মেনে সোয়াইন ফ্লু-র দাপট চলছেই। রোগীর ভিড় বিভিন্ন হাসপাতালে। কিন্তু রোগ পরীক্ষা করবে কে? নাইসেডে ওই মারণ রোগ পরীক্ষার কাজই যে বন্ধ!

Advertisement

সোয়াইন ফ্লু দাপিয়ে বেড়ানো সত্ত্বেও ওই রোগ পরীক্ষার একমাত্র সরকারি কেন্দ্র, বেলেঘাটার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেজ (নাইসেড)-এ থুতুর নমুনা পরীক্ষা বন্ধ কেন? দোলের দিন ঠিকই। কিন্তু বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, সোয়াইন ফ্লু পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠা সত্ত্বেও জরুরি পরিষেবা হিসেবে নাইসেডে রোগ পরীক্ষা চালু রাখা হল না কেন?

নাইসেড-কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আর রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, নাইসেড কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের কোনও বক্তব্য নেই। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মলয় দে বলেন, “নাইসেড এ দিন বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৪৫ জনের রক্ত পরীক্ষা করে আরও ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।” অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ, শুক্রবার নাইসেডে অনেক আগেই নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নমুনা পরীক্ষা না-হোক, রং খেলার দিনে রোগ থেকে রেহাই নেই। এ দিনও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জ্বর, ঠান্ডা লাগার উপসর্গ নিয়ে রোগীরা ভিড় করেন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং উল্টোডাঙার বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভিড় ছিল সব চেয়ে বেশি। কিন্তু নাইসেডে পরীক্ষার কাজ বন্ধ থাকায় কোথাও কোনও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

অনেক টালবাহানার পরে পুরসভা জানিয়েছিল, বিভিন্ন এলাকায় হোর্ডিং এবং পোস্টার লাগিয়ে প্রচার শুরু করা হবে। কিন্তু এখনও সর্বত্র তা শুরু হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফেও এখনও পর্যন্ত প্রচারের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিদর্শকদল রাজ্য থেকে ফিরে গেলেও কেন্দ্রের তরফে অবশ্য সোয়াইন ফ্লু নিয়ে প্রচার থেমে নেই। কী ভাবে রোগ ছড়ায়, এই অবস্থায় কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় সব ব্যাপারেই প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি মাঝের মাঝামাঝি তাদের পরিদর্শকদল ফের আসবে এ রাজ্যে। তত দিনে অবশ্য রাজ্যের সোয়াইন ফ্লু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement