গ্রাহকের কাছে করুণ আর্জি জ়োম্যাটোর। ছবি: শাটারস্টক।
আট থেকে আশি যে কোনও বয়সের মানুষের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা জ়োম্যাটো। এক ক্লিকেই মনের মতো খাবার এসে পৌঁছবে আপনরা দুয়ারে। শুধু তা-ই নয়, খাবার অর্ডারের উপর থাকে বিশেষ ছা়ড়ও। জ়োম্যাটোর বিজ্ঞাপনী কৌশলও হয় বেশ নজরকাড়া। সমাজমাধ্যমের পাতায় মাঝেমধ্যেই সংস্থার তরফে বিভিন্ন ধরনের মজাদার পোস্ট করা হয়, যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় হইচই। এ বারও তাই হল।
সম্প্রতি জ়োম্যাটো
তাদের টুইটারে অঙ্কিতা নামে এক তরুণীর উদ্দেশে একটি টুইট করেছে। টুইটে লেখা,
‘‘ভোপালের অঙ্কিতার কাছে অনুরোধ নিজের প্রাক্তনকে দয়া করে আর খাবার পাঠাবেন না। এই
নিয়ে তিন বার সে খাবারের টাকা দিতে মানা করে দিয়েছে।’’ এই টুইটটি সমাজমাধ্যমে
ছড়িয়ে পড়া মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে এই অঙ্কিতা আদৌ আসল না কি কোনও কাল্পনিক
চরিত্র তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জ়োম্যাটোর এই টুইট অনেকের কাছেই নিজের প্রাক্তনকে
মজা দেখানোর একটি পথ খুলে দিয়েছে।
এই টুইট দেখে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকেই টুইটে লিখেছেন, ‘‘আগে অঙ্কিতা একাই হয়তো এই কাজ করত, তবে এই টুইট দেখার পর অনেকেই এই কাজ করতে শুরু করবে, এই বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।’’ তবে এখানেই শেষ নয়, আর এক জন লিখেছেন, ‘‘জ়োম্যাটোর উচিত ‘ডেলিভার আ স্ল্যাপ’ পরিষেবা চালু করার।’’ অনেকেই আছেন প্রাক্তনের কীর্তি দেখে যাঁদের তাঁকে চড় মারতে ইচ্ছে হয়, তবে সাহস হয় না সেই কাজ করার। তাই অনেকেই জ়োম্যাটোকে পরামর্শ দিতে শুরু করেছেন যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চড় মেরে আসার পরিষেবাও চালু করা উচিত তাদের ।