মশার কামড় থেকেই মূলত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের হার একটু একটু করে কমছে। জনজীবন ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেই চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেলেছে জিকা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। কেরলে ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গেল এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
জিকা কী
কী এই জিকা ভাইরাস? মূলত ইডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। এই ইডিস মশাই চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি বা পীতজ্বরের মতো সংক্রমণের জন্যও দায়ী। তবে সব সময় যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য এই মশার কামড়ই দায়ী, তাও নয়। গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।
উপসর্গ
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণে তেমন মারাত্মক উপসর্গ কিছু হয় না। জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, জিকার সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কাও তুলনায় কম। কিন্তু সংক্রমণ বাড়াবাড়ি জায়গা গেলে তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
চিকিৎসা
কী ভাবে চিকিৎসা হয় এই জিকা সংক্রমণের? এখনও পর্যন্ত এর কোনও টিকা বা ওষুধ নেই। চিকিৎসকেরা বলেন, প্রচুর জল খেতে আর বিশ্রাম নিতে। এটাই জিকা থেকে সেরে ওঠার একমাত্র রাস্তা।
গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাসে।
কী ভাবে বাঁচবেন
জিকার হাত থেকে বাঁচা যায় কী ভাবে? মশার কামড় থেকেই প্রাথমিক ভাবে এই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই মশার কামড় এড়িয়ে চলতে হবে জিকা থেকে বাঁচতে। কেউ একবার সংক্রমিত হলে তাঁকে মশার কামড় থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তাঁর থেকেও মশার কামড়ের মাধ্যস ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।