মধু আসল না নকল তা চেনার কয়েকটি উপায় আছে। ছবি: ফ্রিপিক।
ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে সকালে মধু খেতেই বলেন চিকিৎসকেরা। উষ্ণ জলে লেবুর রস মধু মিশিয়ে খেলে যা যেমন ওজন কমাবে, তেমনই সর্দি-কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে। শরীর ভাল রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সমস্যা হল, এখন বাজারে খাঁটি মধু তেমন পাওয়া যায় না। নকল মধুর ভিড়ে খাঁটি মধু কোনটি, সেটি চেনাই মুশকিল হয়ে যায়। একটু সতর্ক হয়ে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই কিন্তু বুঝবেন, আসল ও নকল মধু কোনটি।
সুন্দরবন থেকে আনা খাঁটি মধুর নাম করে এখন দেদার ভেজাল মধু বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এইসব মধুতে এমন রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই কিনে আনা মধু আগে যাচাই করে নেবেন যে সেটি আসল কি না।
খাঁটি মধু চিনবেন কী উপায়ে?
মধু আসল না নকল তা চেনার কয়েকটি উপায় বলে দিয়েছে খাদ্যের গুমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘এফএসএসএআই’। এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু দিন। তার পরে গ্লাসটি আস্তে আস্তে নাড়াতে থাকুন। মধু যদি জলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যায়, তা হলে সেটি নকল। খাঁটি মধু দলা পাকিয়ে জলের নীচে জমে থাকবে। খুব ধীরে ধীরে মিশবে।
এক টুকরো ব্লটিং পেপারে কয়েক ফোঁটা মধু ঢালুন। যদি ব্লটিং পেপারটি সম্পূর্ণ মধুটি শুষে নেয়, তবে বুঝতে হবে এ মধু খাঁটি নয়।
পরিষ্কার একটি সাদা কাপড়ের টুকরোয় কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। যদি সহজেই দাগ উঠে যায়, তবে সে মধু একেবারেই খাঁটি নয়। মধুর ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তার দাগ সহজে যেতে চায় না।
মধু আসল না নকল, তা বুঝতে পারবেন আরও একটি উপায়ে। এক গ্লাস জলে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মেশান। এ বার তাতে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে দেখুন, যদি ফেনা ওঠে তা হলে বুঝতে হবে সেটিতে ভেজাল মেশানো আছে।
তুলোয় করে মধু নিয়ে সেটিকে দেশলাই দিয়ে জ্বালান। যদি জ্বলে ওঠে তা হলে বুঝতে হবে সেই মধু খাঁটি।