Facebook Group

গড়িয়াহাট নয়, ফেসবুকে গেলেই সারা যাবে পুজোর বাজার, মুশকিল আসান করবে ৫টি গ্রুপ

অ্যামাজ়ন, মিন্ত্রার পাশাপাশি ইদানীং ফেসবুকের কিছু গ্রুপও কিন্তু মন জয় করে বসে আছে। শাড়ি, গয়না, মানানসই জুতো, প্রসাধনী থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর টুকিটাকি— সব বাড়ি বসেই কিনে ফেলা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৫
Share:

ফেসবুকে শুধু নতুন বন্ধু হয় না, শপিং‌ও করা যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বছরভর বাঙালি অপেক্ষা করে শরৎকালের জন্য। বছরের এই চারটি দিন যেন নিয়ম ভাঙার খেলা চলে ঘরে ঘরে। সাজগোজ থেকে খাওয়াদাওয়া— সবেতেই একটা বাঁধনছাড়া ভাব। উৎসবের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেন আট থেকে আশি। পুজোর বাকি এখনও বেশ কয়েকটি দিন। কিন্তু তাতে কী! উৎসবের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো মানেই নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা। নিজের এবং পরিবারের সকলের জন্য জমিয়ে কেনাকাটা। তবে কাজের যা চাপ, তাতে আলাদা করে দোকান ঘুরে ঘুরে মনের মতো কেনাকাটা করার সময় নেই। অফিসের কাজ শেষ করে বেরোতেই রাত নেমে আসে। অনলাইন কেনাকাটার যুগে অবশ্য কাজের ফাঁকেই রাশি রাশি ‘শপিং’ হয়ে যায়। তবে অ্যামাজ়ন, মিন্ত্রার পাশাপাশি ইদানীং ফেসবুকের কিছু গ্রুপও কিন্তু মন জয় করে বসে আছে। শাড়ি, গয়না, মানানসই জুতো, প্রসাধনী থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর টুকিটাকি— সবই বাড়ি বসে কিনে ফেলা যায়। লাইভের মাধ্যমেই মূলত কেনাবেচার প্রক্রিয়া চলে। কিছু পছন্দ হলে অর্ডার করার পর নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতেও চলে আসে। তবে দরদামের কোনও সুযোগ থাকে না। তবু সময় তো বাঁচে। পুজোর আগে সময় বাঁচিয়ে কেনাকাটা করার এমন সুর্বণসুযোগ আর কোথায় পাবেন। কোন কোন ফেসবুক গ্রুপগুলি থেকে কিনতে পারেন, রইল তেমন কয়েকটির খোঁজ।

Advertisement

বিয়িং গর্জাস

কাতান শাড়ি থেকে সেমি মোডাল, রুপোর গয়না থেকে কস্টিউম জুয়েলারি, জুতো, পশ্চিমি পোশাক— সবই পেয়ে যাবেন এক ছাদের তলায়। কম দামের শাড়ি থেকে বেশি দামের পোশাক, সব আছে। তবে কেনার আগে মোবাইলের পর্দায় যতটা সম্ভব জিনিসের মান যাচাই করে নেবেন।

Advertisement

ফেসবুক যখন কেনাকাটার নতুন ঠিকানা। ছবি: সংগৃহীত।

নারীশক্তি

গ্রুপের নাম বলে দিচ্ছে এই গ্রুপটি একান্তই মহিলাদের জন্য। তবে নিজের জন্য শাড়ি, সালোয়ার কেনার পাশাপাশি প্রিয়জনের জন্য কিন্তু বাহারি পাঞ্জাবিও কিনতে পারেন। এই গ্রুপটি থেকে মূলত পোশাকই কেনা যায়। গয়না কিংবা আনুষঙ্গিক জিনিস এখানে পাওয়া যায় না।

ফ্যাশন সোয়াপ

ওয়ান পিস থেকে শুরু করে শৌখিন ব্যাগ, মানানসই গয়না, কুর্তি, সোনালি গহনা, কুশন কভার— গড়িয়াহাট ঘুরে কেনাকাটা করার সময় না থাকলে এই গ্রুপ থেকে কিনতেই পারেন। সব বিক্রেতার কাছে দাম এক রকম নয়। দরদাম করার সুযোগও থাকে না। জিনিস হাতে পাওয়ার পর তা পছন্দ না হলে বদল করার সুযোগও থাকে না। তাই কেনার আগে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া জরুরি।

শপিং সোল

এই গ্রুপে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়বে নানা ধরনের গয়নার সম্ভার। আর একটু এগোলে একে একে দেখতে পাবেন ডিজাইনার ব্লাউজ, সুতির কুর্তি, শিশুদের পোশাক, ঘর সাজানোর নানা বাহারি জিনিস, ব্যাগ, শাড়ি, ছাতা, হাতে তৈরি গয়না আরও অনেক কিছু। বাড়ি বসেই ধীরেসুস্থে পুজোর শপিং সেরে ফেলতেই পারেন।

ফ্যাশন বিউটি

সোনার জল করা শাখা বাঁধানো, পলা বাঁধানো, অষ্টমীর সকালে পরার জন্য লালপেড়ে শাড়ি থেকে নবমীর রাতের জন্য শৌখিন কাজ করা অরগ্যাঞ্জো— এই গ্রুপের অধিকাংশেই পোশাক বিক্রেতা। তবে একটু খুঁজলে নারকেল কোরানোর যন্ত্রও পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই কেনার আগে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যাচাই করে নেওয়ার কাজটি আপনাকেই করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement