ক্রিস্টি ফক্স। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম বদলের সময় ফ্লু-এ কাবু হয়ে পড়েন বহু মানুষ। সামান্য সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা ভেবে অনেকেই ফ্লু-কে অবহেলা করেন। সম্প্রতি আমেরিকার ক্রিস্টি ফক্স নামে এক মহিলা ভাগ করে নিয়েছেন, কী ভাবে ফ্লুয়ের কারণে তাঁর হাত-পা খুইয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে কোভিডের সময়ে ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ফ্লুয়ের কারণে গোটা জীবনটাই বদলে যায় তরুণীর।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিনা জানিয়েছেন, কী ভাবে সামান্য ফ্লুয়ের কারণে তাঁর জীবন ঝুঁকি তৈরি হয়। ২০২০ সালে একদিন সামান্য গলাব্যথা হয় ক্রিস্টিনার। চার দিনের মধ্যেই গলাব্যথা থেকে তাঁর জীবন সঙ্কটের মুখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অক্সিজ়েন স্তর আর রক্তচাপ ভীষণ পড়ে যায়। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে বাড়ি থেকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার মনে হচ্ছিল আমি আর হয়তো বেঁচে ফিরব না।’’
চার দিন পর সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণী। এর ফলে অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণের কারণে কিডনি ও ফুসফুস বিকল হয়ে যায়। মহিলার পরিস্থিতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান চিকিৎসকেরাও। তাঁরাও মহিলাকে বাঁচাতে পারবেন বলে ভাবেননি। কিন্তু শেষমেশ চিকিৎসকেদের চেষ্টায় প্রাণে বেঁচে যান তরুণা। তবে তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় সেপটিক হতে শুরু করে। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘আমার পরিবারকে জানানো হয়, আমার কিছু আঙুল বাদ দিতে হতে পারে। তবে অস্ত্রোপচারের সময়ে আমার প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে দু’টি হাত আর দু’পা-ই কেটে বাদ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে রাখা হয় আমাকে। মে মাসে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। আমার মনে আছে ঠিক মমির মতো সাদা চাদরে গুটিয়ে আমাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।’’