Benefits of whey protein

প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট জল দিয়ে খাওয়া উচিত না দুধ দিয়ে?

ওজন কমানোর সুপারফুড হিসেবে হোয়ে প্রোটিনের মতো সাপ্লিমেন্টের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। জিম করার পর খিদে মেটাতে ও এনার্জি জোগাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১৬:১২
Share:

এই ধরনের প্রোটিনকে বলা হয় ফাস্ট অ্যাকটিং প্রোটিন।

ওজন কমানোর সুপারফুড হিসেবে হোয়ে প্রোটিনের মতো সাপ্লিমেন্টের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। জিম করার পর খিদে মেটাতে ও এনার্জি জোগাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। সেই প্রোটিন সাপ্লিমেন্টকে আরও লো ক্যালোরি করে তুলতে দুধের বদলে অনেকে জলে মিশিয়েই খেয়ে নিচ্ছেন। সত্যিই কি এতে লাভ হচ্ছে?

Advertisement

হোয়ে প্রোটিন বা সয় প্রোটিন সহজে হজম হয় বলে এই ধরনের প্রোটিনকে বলা হয় ফাস্ট অ্যাকটিং প্রোটিন। অন্য দিকে, দুধ হজম হতে সময় লাগে বলে একে বলে স্লো অ্যাকটিং প্রোটিন। অবশ্যই দুধ প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ক্যালোরি?

আরও পড়ুন: ঘাম ঝরছে মানেই কি ঝরছে মেদ?

Advertisement

অনেকেরই ধারণা ওয়ার্কআউটের পর সুপার ফাস্ট অ্যাকটিং প্রোটিন খাওয়া উচিত। দুধ তা ধীরে করে দেবে। নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, যদি আপনি আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় না নামেন তা হলে হজম ধীরে হচ্ছে না দ্রুত গতিতে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। শুধু মাথায় রাখুন যাতে সারা দিনে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারেন এবং তা ৩-৫টা মিলে ভাগ করে খেতে পারেন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফাস্ট অ্যাকটিং প্রোটিন খাদ্যনালী দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বাহিত হয় এবং অধিকাংশ সময়ই সম্পূর্ণ শোষিত হয় না। দুধ খাদ্যনালীতে অনেক ক্ষণ থাকে ও দুধে থাকা প্রোটিন খাদ্যনালীতে সম্পূর্ণ শোষিত হয়। যা শরীরের অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজনীয়তা মেটায়।

আবার অনেকে মনে করেন দুধ দিয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেলে তা ক্যালোরি বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু হোয়ে প্রোটিন দুধে মেশালেও ক্যালোরির যে পরিমাণ দাঁড়ায় তা ক্যালোরির ঊর্ধ্বসীমার অনেকটাই কম। ওজন কমানোর তাগিদে যেহেতু অনেকেই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম রাখেন, তাই সেই ক্যালোরি ও পুষ্টির ঘাটতি দুধে গোলা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট মেটাতে পারে।

আরও পড়ুন: পনির আর টোফু কি একই? জেনে নিন পার্থক্য

যখন দুধে গুলে খাওয়া হয়

প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট দুধে গুললে ফাস্ট অ্যাকটিং প্রোটিন ও স্লো অ্যাকটিং প্রোটিনের মিশ্রণ তৈরি হয়। কারণ দুধ ৮০ শতাংশ কেসিন প্রোটিন। শুধু ফাস্ট অ্যাকটিং বা স্লো অ্যাকটিং প্রোটিন খাওয়ার তুলনায় মিশ্র প্রোটিন খাওয়া স্বাস্থ্যকর। নিউট্রিশনিস্টরা সয়া, হোয়ে ও কেসিন প্রোটিনের মিশ্রণকে কোনও অত্যন্ত পুষ্টিকর মনে করেন। এতে প্রোটিন হজম যেমন তাড়াতাড়ি হয়, তেমনই শোষিতও হয় তাড়াতাড়ি। যেমন যদি ওয়ার্কআউটের পর আপনার ৩০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার প্রয়োজন হয়, তা হলে জলে গুলে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার থেকে দুধে গুলে খাওয়া অনেক বেশি পুষ্টিকর। কারণ, এ ক্ষেত্রে দুধ থেকে পেয়ে যাবেন ৮-৯ গ্রাম প্রোটিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement