সর্দি-কাশি জ্বর কমাতে তুলসী অব্যর্থ ভাবে কাজ করে ছবি-- সংগৃহীত
প্রাচীন গ্রীসে গালেন নামের একজন চিকিৎসক প্রথম ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে ভেষজ ঔষধ বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারও আগে সুমেরীয়রা এ সব ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করতেন। সে সব বহুযুগ আগের কথা। বর্তমানে আমরাও অনেকে এই ধরণের কিছু ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে থাকি। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় মূলত এ সব উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। ঘর সাজাতে বাহারি গাছের পাশাপাশি এই গাছগুলিকে বারান্দায় টবে সাজিয়ে রাখাই যেতে পারে। কী সেই গাছগুলি?—
তুলসী: ঠান্ডা লেগে সারা বছরই সর্দি-কাশি-জ্বর লেগে থাকে। এর থেকে উপশম পেতে মধু আর তুলসী ম্যাজিকের মত কাজ করে। এ ছাড়াও মুখের রুচি ফেরাতে, গায়ে-হাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তুলসীর দারুন কার্যকর।
চিরতা: অনেকে চিরতাকে কালমেঘ নামেও চেনেন। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তাঁরা রোজ খালি পেটে চিরতার পাতা গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
বাসক: অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে বা ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে খেলে উপশম দেয়।
নিম পাতাতেও আছে প্রচুর গুন ছবি- সংগৃহীত
জবা: জন্ডিস হলে জবা পাতার রস খুব কাজ দেয়।
থানকুনি: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে, চুল ঝরা রোধে, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতে থানকুনি পাতা খুবই উপকারী। এ ছাড়া পেট খারাপ হলে গরম ভাতে থানকুনি পাতা বেঁটে খেলে নিমেষে সুস্থ হওয়া যায়।
নিম : নিম বহুবিধ গুনাগুণ সমৃদ্ধ একটি গাছ। গাছের পাতা, ডাল কোনোটাই ফেলে দেওয়ার মত নয়। প্রাচীনকালে তো নিমের পাঁচন খেয়েই অর্ধেক রোগ সেরে যেত। ত্বক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা বা কোনও ক্ষতে নিম হলুদের প্রলেপ লাগালে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। এছাড়াও নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়।