পাশে বসে কেউ হাই তুললে আমাদেরও হাই ওঠে! ছবি: শাটারস্টক।
শিশুদের মনে নানা সময় নানা প্রশ্ন জাগে! আর তাদের যত প্রশ্ন সবই বাবা-মায়ের কাছে। এটা কেন হয়? ওটা কী ভাবে হয়? নানা প্রশ্নবাণ ছুড়ে বাবা-মাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে খুদেরা। কখনও কখনও তারা এমন সব প্রশ্ন করে বসে, যার উত্তর থাকে না অভিভাবকের কাছে। শিশুদের মনে প্রশ্ন জাগার আগে আপনি এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।
১) পেঁয়াজ কাটলে চোখে জল আসে কেন?
পেঁয়াজে রয়েছে সালফেনিক অ্যাসিড। কাটার পর সেগুলি বেরিয়ে অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। তাতেই তৈরি হয় সারফার গ্যাস। সেটাই চোখে গিয়ে চোখ জ্বালা করে জল বেরিয়ে যায়। এ কারণে পেঁয়াজ কাটার অনেক পরেও হাতে গন্ধ লেগে থাকে।
২) অন্য জনকে হাই তুলতে দেখলেই আমাদেরও হাই ওঠে কেন?
পাশে বসে কেউ হাই তুললে আমাদেরও হাই ওঠে! তা হলে কি হাই ছোঁয়াচে? বিজ্ঞানীদের মতে, এরকম হওয়ার কারণ মূলত শরীরে মিরর নিউরোনের উপস্থিতি। অনেক সময়ে দেখা যায় অন্য কাউকে আঘাত করলে, শারীরিক ভাবে না হলেও মানসিক ভাবে ব্যথা অনুভূত হয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ তো আসলে দলবদ্ধ জীব। তাই সব সময় দলগত ভাবে চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে ভালবাসে। সাধারণত আমরা যখন ক্লান্ত হয়ে যাই, যখন একঘেয়েমি আসে, তখন মস্তিষ্কের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হাই তুললে তাপমাত্রা কমে যায়। হাই তুললে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। হাই তোলার পর মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে যায়। অন্যকে অনুকরণ করে আমরাও চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করি।
পেঁয়াজ কাটার অনেক পরেও হাতে গন্ধ লেগে থাকে।
৩) ঠান্ডা লাগলে কেন কাঁপুনি আসে?
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শরীর সব সময় চায় এই তাপমাত্রাটি বজায় রেখে চলতে। ঠান্ডা লাগলে আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্র সেন্সরগুলি আপনার মস্তিষ্কে বার্তা পাঠায় শরীর গরম করার জন্য। মস্তিষ্ক শরীরের প্রতিটি স্নায়ুতে বার্তা পাঠিয়ে পেশিগুলিকে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করতে বলে। একেই আমরা কাঁপুনি বলি। পেশির নড়াচড়া হলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়।