তথ্যচুরি নিয়ে কী বলছে হোয়াটসঅ্যাপ? —ফাইল চিত্র
কিছু দিন আগেই সংবাদ সংস্থা সাইবারনিউজের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, বেহাত হয়ে গিয়েছে কোটি কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য। ভারত-সহ বিশ্বের চুরাশিটি দেশের প্রায় পঞ্চাশ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী অনলাইনে সেই তথ্য বিক্রি করছে বলেও দাবি করা হয় রিপোর্টে। তবে সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হলেও, হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ধরনের ‘ডেটা লিক’ বা তথ্যচুরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করলেন মেসেঞ্জার অ্যাপটির এক মুখপাত্র।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, একটি ‘হ্যাকিং কমিউনিটি ফোরাম’-এ কিছু দিন আগে দাবি করা হয়, তাদের কাছে আটচল্লিশ কোটি সত্তর লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। সংবাদ সংস্থাটি দাবি করে, সেই তথ্য ঘেঁটে দেখে জানা গিয়েছে হ্যাকারদের দাবি সত্যি হতেও পারে। বিশ্ব জুড়ে প্রায় দুশো কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। কাজেই হ্যাকারদের দাবি সত্যি হলে বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর প্রায় ২৫ শতাংশই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ওই রিপোর্টে। তবে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগের সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়নি। যে যে স্ক্রিনশটের উপর ভিত্তি করে সংবাদ সংস্থাটি ওই দাবি করেছে, সেগুলিরও সত্যাসত্য যাচাই করা হয়নি। এর পরই সংবাদ সংস্থার এক কর্তা টুইট করে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হওয়ার কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। —ফাইল চিত্র
প্রসঙ্গত, কোন কোন দেশের কত মানুষের তথ্য বেহাত হয়েছে, তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। তালিকায় ছিল ভারতও। এ দেশ থেকে ষাট লক্ষেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।