কর্মী সম্পর্কে অফিস কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন কতটা সৎ তার উপর নির্ভর করবে অ্যাপ্রাইজাল। ছবি: শাটারস্টক।
মার্চ মাস শেষ হলেই কপালে ভাঁজ পড়া শুরু কর্মীদের। কারণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ হাজির। বিগত আর্থিক বছরে কর্মক্ষেত্রে আপনার কাজের মান ও ধরন কেমন ছিল তা-ই আপনার নতুন আর্থিক বছরের বেতন নির্ধারণ করবে।
কিন্তু সব সময়েই কর্মক্ষমতাই নতুন বছরের অ্যাপ্রাইজাল নির্ধারণ করে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় বসের সঙ্গে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল থাকলে তার অ্যাপ্রাইজালও ভাল হয়। এমনও অনেক কর্মী থাকেন যাঁরা সারা বছর বিভিন্ন ভাবে ফাঁকি মারলেও ঠিক জানুয়ারি মাস থেকে কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেন ও বসকে তোষামোদ করা শুরু করেন। কারণ সামনেই আসন্ন অ্যাপ্রাইজাল!
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা নির্ভর করে কর্মী সম্পর্কে অফিস কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন কতটা সৎ তার উপর। তবে অনেক সময়েই আশানুরূপ অ্যাপ্রাইজাল না হওয়ায় হতাশ হন কর্মীরা। জেনে নিন অ্যাপ্রাইজালআশানুরূপ না হলে ঠিক কী কী করবেন।
আরও পড়ুন: কোন মেঝে কী ভাবে ঝকঝকে রাখবেন?
অ্যাপ্রাইজাল মনের মতো না হলে ভেঙে পড়বেন না। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কেমন কাজ করেছেন। যদি নিজের কাজে নিজেই সন্তুষ্ট না থাকেন তা হলে বসকে আশ্বাস দিন পরের বছর আপনার কাজের মান উন্নত হবে। নিজেই ভেবে দেখুন কাজের কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার খামতি ছিল। যেখানে খামতি ছিল সেখানে আরও নজর দিন। অ্যাপ্রাইজালের আগে সব সময়ে সুপারভাইজার বা বস কর্মীর সঙ্গে মিটিং করেন। সেই মিটিং-এ নিজের কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার বুঝিয়ে বলুন বসকে। যদি দেখেন, মিটিং-এ বস আপনার কাজের মূল্যায়ণ ঠিকঠাক করছেন না, তা হলে তাঁকে তা বুঝিয়ে বলুন।
আরও পড়ুন: ভাল থাকার নতুন দাওয়াই গ্রিন থেরাপি, সবুজই বদলে দেবে প্রতিদিনের জীবন
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অ্যাপ্রাইজাল খারাপ হলে ভেঙে পড়বেন না।
অ্যাপ্রাইজাল মিটিং-এর পরে কর্মীর মূল্যায়ণ পত্রে তাঁকে স্বাক্ষর করতে হয়। অর্থাৎ বসের মূল্যায়ণের সঙ্গে আপনি সহমত। আপনি সন্তুষ্ট না হলেও আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে নিজের সই-এর পাশেই লিখে দিন আপনি অ্যাপ্রাইজালে সন্তুষ্ট নন এবং পুনরায় আবেদন করবেন। আবেদন করার সময়ে দেখুন বস ঠিক কোন জায়গায় আপনাকে ভুল মূল্যায়ণ করেছেন। আবেদন পত্রে প্রামাণ্য তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বোঝান কেন আপনি অ্যাপ্রাইজালের মূল্যায়ণ পত্রে সন্তুষ্ট নন। প্রয়োজনে সুপারভাইজার বা বস এবং এইচআর-এর কোনও কর্মীর সঙ্গে আলোচনায় বসুন। যুক্তি দিয়ে বোঝান। মিটিং শেষে জিজ্ঞাসা করুন কবে নতুৱ অ্যাপ্রাইজালের মূল্যায়ণ পত্র পাবেন। প্রথম অ্যাপ্রাইজাল পত্র থেকে নতুন অ্যাপ্রাইজাল পত্র সমস্ত কাগজপত্র এক জায়গায় রাখুন।