ছবি: সংগৃহীত।
রঙিন দোলে আরও গভীর রং মেশায় দোলের পানীয়। এ দেশে হোলি খেলায় সিদ্ধি বা ভাঙ মেশানো পানীয় খাওয়া প্রাচীন সংস্কৃতির অঙ্গ। তবে এ-ও ঠিক ভাঙ বা সিদ্ধির যে প্রভাব শরীরের উপরে পরে তা অ্যালকোহলের নেশার সমান। যা অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেলে হতে পারে শারীরিক সমস্যাও। অনেক সময়ে অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন মানুষ।
ভাঙ খেলে মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, গা গুলনো, ক্লান্তিবোধ আসতে পারে। তা ছাড়া শরীরে আর্দ্রতা কমে গেলে যে যে সমস্যা হতে পারে, তা-ও হতে পারে ভাঙের প্রভাবে। এই দোলেও যদি ভাঙ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ, তবে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে সামান্য অস্বস্তি কাটাতে কিছু প্রাথমিক টোটকা কাজে লাগতে পারে।
১। ঘুম
ভাঙের প্রভাব কাটানোর ভাল উপায় হল ঘুম। যদি ঘুমনোর উপায় থাকে বা শান্ত পরিবেশে কিছু ক্ষণ জিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়, তবে তা-ই করুন। ঘুমোলে মাখাব্যথা, গা গোলানো বা অন্যান্য উপসর্গ কমতে পারে।
২। স্নান
ঠান্ডা জলে স্নান করে নিলেও মাথা যন্ত্রণা এবং ঝিমুনি ভাব কাটতে পারে।
৩। আদা
আদায় আছে প্রদাহনাশক উপাদান। যা গা গুলনো ভাব কমানোর পাশাপাশি যন্ত্রণা কমাতেও সাহায্য করবে। আদা চা খেলে দ্রুত কাজ হতে পারে।
৪। হাঁটা
গা গুলনোর সমস্যা হলে ফাঁকা রাস্তায় খোলা হাওয়ায় হাঁটা চলা করলে ভাল বোধ করতে পারেন।
৫। জল
ভাঙ শরীরের আর্দ্রতা টেনে নেয়। তাই প্রচুর জল খান। নারকেল বা ডাবের জল খেলে ইলকট্রোলাইট দেওয়া জল খেলে দ্রুত কাজ হবে।
৬। টক
টক জাতীয় খাবার যেমন লেবু খেলে কাজ হতে পারে। লেবুতে আছে ভিচামিন সি যা শরীরের প্রদাহ রোধ করে। পাতিলেবু, কমলালেবু, এমনকি, ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেয়েও ভাঙের ঝিমুনি কাটানো যেতে পারে।
৭। খাবার
গা গোলানোর সমস্যা হলে হালকা এবং অল্প খাবার খেতে পারেন। শর্করা বেশি এমন খাবার খেলেও শরীর ঠিক হতে পারে।