হজম বা পেটের সমস্যা থেকে দূরে থেকে সুস্থ থাকতে খাওয়া-দাওয়া নজর দেওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
শিশু বড় হয়ে মানসিক ভাবে কতটা সুস্থ থাকবে, সেই বিষয়ে প্রথম থেকেই মা বাবার সচেতন থাকা উচিত। ছোট থেকে যে শিশু হজমের সমস্যায় ভোগে, তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ছোটবেলায় যাদের হজমের সমস্যা থাকে, তার প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে, যা প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় অবসাদে পরিণত হতে পারে। পেট বা অন্ত্রের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ রয়েছে। তাই ছোট থেকে কোনও শিশু পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগলে, পরে মানসিক অসুস্থতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই শৈশব থেকেই এই ব্যপারে মা-বাবাদের সচেতন থাকা উচিত। হজম বা পেটের সমস্যা থেকে দূরে থেকে সুস্থ থাকতে খাওয়া-দাওয়া নজর দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেসমুক্ত থাকা এবং এক্সারসাইজ করলে এই অন্ত্রের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মাংস, ক্যাফিন, গ্লুটেন, মিষ্টি, ও দুধ জাতীয় খাবার থেকে অন্ত্রের সমস্যা এড়ানো যায়। মূলত এই খাবারগুলিই হজমের সমস্যার ও মানসিক সমস্যার উৎস। এই ধরনের খাবারের বদলে তাই যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও সব্জি ডায়েটে রাখা উচিত। এই ধরনের খাবারে ফাইবার থাকে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ এড়ানো যায়।
আরও পড়ুন: অফিসে নাইট শিফট, শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ, সামাল দেবেন কী করে
সুস্থ থাকতে ছোট থেকেই খাওয়া দাওয়া বুঝে করা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
এ ছাড়াও খাবার খাওয়ার ধরনের উপরেও নির্ভর করে হজম শক্তি কেমন হবে। খাওয়ার সময়ে খাবারের উপরেই মন দিন। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। যে খাবারই খান তা ভাল করে চিবিয়ে না খেলে হজম হবে না। কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত। ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে।
এ ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা উচিত যথেষ্ট পরিমাণে তারা ঘুমোচ্ছে কি না। পড়াশোনার জন্য মা-বাবারা আজকাল শিশুর উপর যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে তাও শিশুর হজমের গোলমালের কারণ হতে পারে। শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলা করছে কি না তা দেখা উচিত।
আরও পড়ুন: সদ্যোজাত পেটের ব্যথায় ভুগছে! মাতৃদুগ্ধেই রয়েছে শিশুর রোগের ওষুধ
এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অমিত ঘোষ বলছেন, পেট সুস্থ রাখতে অবশ্যই ছোট থেকেই খাওয়া দাওয়া বুঝে করা উচিত। দুধ, চিনি বা গ্লুটেন জাতীয় খাবার শিশুর পেটে সহ্য হচ্ছে কি না, সেই দিকে নজর ছোট থেকেই বাবা-মায়ের নজর দেওয়া উচিত।