প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি কোভিড চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)। কিন্তু কেন এই সতর্কবার্তা? স্টেরয়েড কি সকলের শরীরের জন্যই ক্ষতিকর? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
কোভিড রোগীদের অনেকের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই স্টেরয়েডের ব্যবহার করা হয়। তা বন্ধ না করতে বললেও কম ব্যবহার করার চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্টেরয়েডের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কমে প্রতিরোধশক্তি। আর যাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, সে সব রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বেশি ছড়াতে দেখা যাচ্ছে।
স্টেরয়েড হল হর্মোনের মতো একটি পদার্থ, যা বানানো হয় কৃত্রিম উপায়ে। এই ওষুধ যেমন কোভিডের চিচিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমন ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। আর্থারাইটিসেও ব্যবহার করা হয় স্টেরয়েড। তবে মাপের বাইরে এই ওষুধ ব্যবহার করলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, প্রতিরোধশক্তি কমে। তার সঙ্গে পেটের সমস্যা, ঘুমের অসুবিধা, মানসিক সমস্যা হতে পারে। ফলে কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যত্রতত্র এই ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক করছে এমস।
এই ওষুধের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় এবং মাত্রা খেয়াল করা খুব জরুরি। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘কোভিডে পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে শরীরে সাইটোকাইম তৈরি হচ্ছে কি না, তা দেখতে হয়। রক্ত পরীক্ষা করলে তা বোঝা যায়। সাইটোকাইম রিলিজ সিন্ড্রোম শুরু হয়ে গেলে স্টেরয়েড না দিলে আটকানো কঠিন হয়। তার আগে আবার স্টেরয়েড দিয়ে দিলে উল্টো কাজ হতে পারে। ক্ষতি হতে পারে। এদিকে, প্রয়োজনের সময়ে স্টেরয়েড ব্যবহারে খুব দেরি করলেও চলবে না। পঞ্চম দিনে নতুন করে জ্বর, পেট খারাপ বাড়লে তখন না দিয়ে হয়ে অষ্টম দিনে হঠাৎ দেওয়া মানেও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।’’ ফলে স্টেরয়েডের ব্যবহার যে সাবধানে করতে হয়, তা মনে করাচ্ছেন চিকিৎসক।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ