সমু্দ্রের ধারে মদ্যপান করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত
বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বসে সপ্তাহান্তের মদ্যপান!
এমন ছবি এখন আবার ফিরে আসছে তো মনে? ধীরে ধীরে কিছু পর্যটনকেন্দ্রও খুলছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে এতদিন ঘরবন্দি হয়ে কেটেছে। এবার তো একটু ইচ্ছা করবেই সকলের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মাততে। আর সমুদ্রের ধারে বসে খোলা মনে কিছুক্ষণ হাল্কা মেজাজে সময় কাটানোর পরিকল্পনাও হয়তো বা হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলেও, সৈকতে বসে মদ্যপান না করাই ভাল। কারণ দু’দিনের সেই আনন্দ ডেকে আনতে পারে নানা সমস্যাও।
কী ধরনের অসুবিধায় পড়তে পারেন?
মদ্যপানের পরে সমুদ্রে নামা যে ঝুঁকির, তা জানে সকলেই। মদ্যপানের পরে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নামলে যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে, সে কথা নতুন করে মনে করার বিষয়ও নয়। সমুদ্রে নৌকো নিয়েও নামার মানে হয় না এমন অবস্থায়। সামান্য মদ্যপানও বহু ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে এমন সব ক্ষেত্রে।
তবে এ ছাড়া আরও নানা ধরেন ক্ষতির আশঙ্কা থাকে সৈকতে বসে মদ্যপান করলে।
কেমন?
কী কী সমস্যা হতে পারে সমুদ্রসৈকতে মদ্যপান করলে?
মদ্যপান করলে শরীরের ভিতরটা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। যে কারণে মদ্যপানের আগে ও পরে বারবার জল খেতে বলা হয়ে থাকে। রোদের মধ্যে সৈকতে বসে মদ্যপান করলে সে আশঙ্কা আরও বাড়ে। রোদে তো আরও শুকিয়ে যাবে শরীর। তার উপরে অ্যালকোহলের প্রবাভ। সবে মিলে জলের অভাব তীব্র ভাবে দেখা দিতে পারে শরীরে। তার থেকে দেখা দিতে পারে অসুস্থতা।
সঙ্কট আরও প্রবলও হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে রোদ লাগানো জরুরি। কিন্তু মদ্যপান করতে করতে সেই রোদ লাগলে সঙ্কট অন্য হতে পারে। অ্যালকোহল এবং রোদের তেজ মিলেমিশে অন্য সমস্যা তৈরি হয়। এর থেকে ত্বকের ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে।
ফলে সৈকতে বসে মদ্যপান ততটা সুখের নাও হতে পারে!