প্রতীকী ছবি।
ওজন বাড়ার কারণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলেন, ঠিক ডায়েটের অভাব। কেউ আবার বলেন ক্যালোরি নয়, দায়ী আসলে হরমোন। হার্ভার্ড থেকে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়— বিভিন্ন গবেষণা বলছে মানুষ ওজন বৃদ্ধির আসল কারণ বুঝতে ভুল করেছে। ওজন বাড়বে না কমবে তা আদপে নির্ভর করে না কেবল ক্যালোরির উপর। বরং, এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে ইনসুলিনের মতো হরমোন। আবার অনেক বিশেষজ্ঞর মতে, স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা করলেই ওজন কমবে সহজে।
ওজন নিয়ে বর্তমান ধারণা অবশ্য অনেকটাই ক্যালোরি-নির্ভর। প্রতিদিন দৈহিক কাজের তুলনায় যদি বেশি ক্যালোরি কেউ গ্রহণ করে, তা হলে ওজন বাড়বে। আর দৈহিক কাজের তুলনায় কম ক্যালোরি নিলে ওজন কমবে। এই ধারণার এক পোশাকি নামও আছে। সেটি হল— সিআইসিও তত্ত্ব। যা ভাঙলে দাঁড়ায় ‘ক্যালোরি ইন ক্যালোরি আউট’ তত্ত্ব।
প্রতীকী ছবি
অন্য যে তত্ত্বটি স্থূলতার ক্ষেত্রে প্রচলিত সেটি হল, কার্বোহাইড্রেট-ইনসুলিন মডেল। এই তত্ত্ব অনুসারে মেদ জমবে না ঝরবে, তা নির্ভর করে হরমোনের পরিমাণের হ্রাস-বৃদ্ধির উপরে। যেমন, আপনার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট বেশি মাত্রায় থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়বে, যার অবধারিত ফল হল ইনসুলিন ক্ষরণ। এই তত্ত্বটি বলছে এ ভাবে উত্তরোত্তর ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে থাকলে শরীরে মেদ জমতে বাধ্য, ক্যালোরি বেশি খাওয়া হোক বা কম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক নিয়মে খিদে পাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে, তখন সমগ্র বিপাক-ক্রিয়ায় শুরু হবে গন্ডগোল।
এই তত্ত্বটি নতুন নয়। বহু বিশেষজ্ঞ, বিশেষত যারা কিটো-ডায়েটের পক্ষপাতী, তারা এই তত্ত্বের দীর্ঘ দিনের সমার্থক। ফ্যাট জমার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ইনসুলিন একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এখনও কোনও গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে, ওজন বৃদ্ধিতে ইনসুলিনের ভূমিকা ক্যালরির থেকেও বেশি। বরং বেশ কিছু গবেষণা বলছে যে, প্রসেসড খাবার ও রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট স্থূলতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এ ছাড়াও, ফ্যাট ও প্রোটিনের নিরিখে রোজের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের অনুপাত ওজন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে।