প্রতীকী ছবি।
একটা বয়সে বাচ্চাদের অভ্যাস-বদভ্যাস সম্পর্কে তেমন ধারণা থাকে না। অনেক সময় বড়োদের কাউকে কোনও কাজ করতে দেখে সেটা হুবহু নকল করে। আবার কখনও কোথা থেকে উদ্ভট অভ্যাস তৈরি করে ফেলে। নাক খোঁটা তাদের মধ্যেই অন্যতম। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এই অভ্যেস অনেক বাচ্চারই থাকে। বারবার বলে বলেও নাক খোঁটার অভ্যাসে লাগাম পরানো সম্ভব হয় না। কী করলে এই অভ্যাস কমাবেন?
১) বাচ্চাকে যখনই নাকে হাত দিতে দেখবেন, হাত ধুয়ে ফেলতে বলুন। সে যদি বলে নাক পরিষ্কার করতে হবে, তাই সে হাত দিচ্ছে, তা হলে তার জন্য তাকে পরিষ্কার রুমাল দিন। তাতে নাক পরিষ্কার করলে নাকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে না।
২) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চা অনেক সময় একঘেয়েমি কাটাতেও নাকে হাত দেয়। তাই বাচ্চা যদি ফাঁকা বসে থাকে বা এক মনে টিভি দেখতে দেখতে নাক খুঁটতে থাকে, তা হলে তাকে অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত করে দিন। লেখাপড়া বা আঁকার কোনও কাজ দিতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।
৩) বাচ্চাকে যত বার বোঝাচ্ছেন এটা বদভ্যাস, সে কিছুতেই বুঝছে না? উল্টে আপনার সামনে আরও বেশি করে নাক খুঁটছে? আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই সে কিন্তু এটা বেশি করছে। তাই একটা সময় পর থেকে বিষয়টা উপেক্ষা করতে শুরু করলে অভ্যাসটা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৪) বাচ্চার নাক খোঁটার পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই তো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানসিক চাপ থেকে রাইনোটিলেক্সোমেনিয়া দেখা দিতে পারে। যার ফলে নাক খোঁটার পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে যায়। সমস্যা কমাতে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।