প্যাচপেচে গরম হোক বা গুমোট বর্ষা— মুখের ত্বক কিন্তু সব সময়ই চায় একটু বিশেষ যত্ন। ফেসিয়াল তো প্রায়ই করেন, কিন্তু ফেসিয়াল মিস্ট-এর ব্যাপারে ওয়াকিবহাল কি? জানলে বুঝবেন, এতে উপকার প্রায় ফেসিয়ালের দ্বিগুণ। সামান্য ক’টা উপাদানেই রয়েছে যত্নের চাবিকাঠি। এক ঝলকে জেনে নিন ফেসিয়াল মিস্টের মিস্ট্রি। ছবি: সাটারস্টক
ফ্রেশ গ্লো আনতে মিস্ট এখন ইন স্টাইল: যদি কিছুতেই ম্যানেজ করতে না পারেন মুখের শুকনো ভাব, তা হলে মিস্ট ট্রাই করুন আজই। ইনস্ট্যান্ট কুলিং তো পাবেনই, সঙ্গে জেল্লা বাড়বে মুখে। মিস্টের জলীয় অংশ ত্বকের এন্ডোডার্ম অবধি পরিস্কার করে দেবে টক্সিন। কাজ হবে টোনিংয়ের।
মিস্ট বাছতে জোর দিন অ্যারোমা বেস-এর উপর: বাজার চলতি যে কোনও মিস্ট বেছে নিলেই কিন্তু চলবে না। বরং ভরসা রাখুন অ্যারোমা বেসড এসেনসিয়াল অয়েলে ভরপুর মিস্টে। টি ট্রি অয়েল, অ্যালোভেরা ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টোনারে মুখের চামড়া হবে টানটান আর তরতাজা।
এড়িয়ে চলুন সিন্থেটিক মিস্ট: ফরম্যালডিহাইড, প্যারাবেন ও সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্স যুক্ত মিস্ট আজই বদলান। এতে উপস্থিত বেনজয়েল পারক্সাইড, ট্রিকলোসানের মতো উগ্র রাসায়নিকে আরাম সাময়িক মিললেও দ্রুত ক্ষতি হবে কোষের। বরং স্পর্শকাতর ত্বক হলে স্প্রিং ওয়াটার বেসড মিস্ট। এর মৃদু প্রলেপে লালিত্য ফিরে পাবে ত্বক।
দিনে দু’বারের অঙ্ক: কম সময়ে উপকার পেতে প্রতি দিন দু’বেলা ব্যবহার করুন মিস্ট। চোখ বাঁচিয়ে সামান্য দূরত্ব থেকে স্প্রে করুন । শুকাতে দিন মুখেই। মিস্ট মুখে বসে গেলে তার উপর করুন মেক আপ। ওয়েল বেসড মিস্ট হলে মেক আপ থাকবে অনেক ক্ষণ আর তাজা রাখবে মুখ।
ঘন ঘন কোম্পানি বদলাবেন না: আমাদের শরীরে মুখের ত্বক খুব সেন্সেটিভ। তাই যে কোম্পানির মিস্ট ব্যবহার করেন, তাতে মুখ অনেকটাই সড়গড় হয়ে যায়। ঘন ঘন মিস্টের কোম্পানি বদলালে মুখের ত্বক তা মানিয়ে নিতে সময় নেয়। অনেক সময় উপাদানের হেরফেরে অ্যালার্জি বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে।