New Year's Eve

রাতভর পার্টির পরের সকালেই অফিস? রইল হ্যাংওভারের মুশকিল আসান উপায়

মদ্যপানের সঙ্গে ভাজাভুজি খাবেন না। বরং, তখন বেছে নিন বিভিন্ন ধরনের স্যালাড। ধীরে ধীরে পান করুন। দু’টি পেগের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখুন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৩২
Share:

ছবি: শাটারস্টক

নিউ ইয়ার্স ইভে রাতভর পার্টির সময় মনেই থাকে না পরের দিন সকালে অফিসে যেতে হবে। কিন্তু বছরের প্রথম দিন যাঁদের কাজের জায়গায় ছুটি থাকে না, তাঁদের কাছে বড় সমস্যা হল পার্টির হ্যাংওভার। তবে পার্টির আগে-পরে কিছু টিপস মনে রাখলেই এই সমস্যার সমাধান আপনার হাতে।

Advertisement

পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান

‘হ্যাং ওভার’-এর বড় কারণ হল শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়া। তাই পার্টির আগে, পার্টি চলাকালীন এবং পার্টির পরে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। প্লেন জল, নারকেলের জল, বা সামান্য ওআরএস যোগে জল পান করুন। পার্টিতে মদ্যপান করলে, প্রতি গ্লাস, শট বা ক্যানের পরে জল খান। সবথেকে ভাল হয়, যদি পার্টি শুরুর আগে চার পাঁচ কাপ জল পান করে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীর বেরিয়ে যাওয়া ফ্লুইড প্রতিস্থাপন করতে পারবে এবং পরদিন সকালে আপনার নিজেকে ডিহাইড্রেটেড লাগবে না। হ্যাংওভারের সমস্যাকে প্রথমেই ব্যাকফুটে পাঠাতে পারবেন।

Advertisement

মদ্যপানের সময় খেয়াল রাখুন

খালি পেটে সুরাপান কখনওই করবেন না। মদ্যপানের আগে ফ্যাটযুক্ত খাবার খান। খাবারের স্নেহ পদার্থ আপনার দেহে অ্যালকোহল শোষণ বিলম্বিত করবে। কিন্তু মদ্যপানের সঙ্গে ভাজাভুজি খাবেন না। বরং, তখন বেছে নিন বিভিন্ন ধরনের স্যালাড। ধীরে ধীরে পান করুন। দু’টি পেগের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখুন।

মৃদু এক্সারসাইজ

হ্যা্ংওভার থাকলে উঠতে ইচ্ছে করে না ঠিকই। কিন্তু কষ্ট হলেও চেষ্টা করুন ওরই মধ্যে হাল্কা এক্সারসাইজ করতে। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির ভিতরেই হাঁটুন। পরের দিন কাজের মধ্যেও মাঝে মাঝে ব্রেক নিন।

ব্রেকফাস্টে থাকুক কলা

হ্যাংওভার কাটাতে কলার জুড়ি মেলা ভার। পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ এই ফল পরের দিনের জলখাবারে অবশ্যই রাখুন। সরাসরি খেতে ভাল না লাগলে স্মুদি বানিয়ে খান। কাজে এনার্জি পাওয়ার পাশাপাশি হ্যাংওভার দূর হবে দ্রুত।

মধুরেণ সমাপয়েৎ

হ্যাং ওভারের সমাপ্তি হোত মধুময়। আরও অনেক বিষয়ের পাশাপাশি মধু এ ক্ষেত্রেও বিস্ময়কর ভাবে জুড়িহীন। কলার স্মুদিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে লেবু আর মধু মিশিয়ে ডায়েটে রাখুন। তাতেও সমস্যা রয়ে গেলে প্রতি আধঘণ্টা অন্তর দুই থেকে ছ’ ছামচ করে মধু খেতে থাকুন।

চা এবং কফি

অনেকেই হ্যাংওভার কাটাতে কফি পান করেন। এতে চটজলদি কাজ হয় ঠিকই। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের ক্ষতি‌ও করে। তাই বেশি কফিপান না করে আদা দিয়ে চা খান। ভরসা করতে পারেন গ্রিন টি বা হার্বাল টি-এর উপরেও। এতে আপনার লিভার আরাম পাবে।

সময় নিয়ে স্নান করুন

হ্যাং ওভার দূর করতে এদিন স্নানের জন্য একটু বেশি সময় রাখুন। তবে খুব বেশি গরম জলে স্নান করবেন না। স্নানের পরে খোলা জায়গায় বসুন। দেখবেন ক্লান্তি কেটে গিয়ে ফ্রেশ লাগছে।

রোদচশমা ভুলবেন না

হ্যাংওভার কাটিয়ে যখন বাড়ির বাইরে বার হবেন, অবশ্যই ব্যবহার করুন রোদচশমা। কারণ হ্যাংওভারের ফলে আপনি ফোটো সেন্সেটিভ হয়ে পড়েন। পাশাপাশি, উদ্দাম পার্টির পরের দিন চেষ্টা করুন ইয়ারফোন থেকে দূরে থাকতে। কানকে যত বিশ্রাম দেবেন, তত তাড়াতাড়ি হ্যাংওভার থেকে মুক্ত হবেন।

এই নিয়মগুলি মনে রেখে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠুন। উদযাপন করুন। কিন্তু বেহিসেবি বা লাগামছাড়া না হয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement