নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের জন্য কোনও কোনও ভ্যাকসিনের এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। ফাইল ছবি।
বিশেষজ্ঞদের মত, অনেক দূরের পথ ভ্যাকসিন।কারণ, যে যা-ই বলুন-না কেন, আরএনএ ভাইরাস এত দ্রুত নিজেকে পালটায় ও একবার রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অ্যান্টিবডি এত কম দিন কার্যকর থাকে যে, চট করে কিছু হওয়ার নয়।যদিও রোগ ঠেকানোর আর এক হাতিয়ার, রক্তের টি-সেল নিয়েও কাজ চলছে।সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডি কমলেও টি-সেল প্রতিরক্ষা দেবে বলে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।এগোচ্ছেনও সেই পথে।কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ অতশত বুঝছি না, ভাবছি, যা-ই হোক, কিছু একটা তো আসুক।এভাবে হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে, ঘরে বসে আর কতদিন!
কতদিন এবং কতটা সুরক্ষা তা জানতে গেলে কাজগুলি কীভাবে চলছে, ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে, সে সবও জানতে হবে।
কীভাবে বানানো হয় ভ্যাকসিন
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, “জীবাণুর কিছু অংশ বা পুরো জীবাণুটাই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঢোকানো হয় শরীরে।খুব কম মাত্রায়।যাতে পুরোদস্তুর রোগ না হয় অথচ জীবাণুর দেখা পেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তাকে মারার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করে।এই অ্যান্টিবডিই হচ্ছে রোগের বিরুদ্ধে বাঁচার রাস্তা।
একবার সঠিকভাবে তৈরি হলে ইমিউন সিস্টেম পুরো প্রক্রিয়াটি তার স্মৃতিতে ধরে রাখে, যাতে পরে ওই জীবাণু হানা দিলে শরীর আবার দ্রুত অনেক অ্যান্টিবডি তৈরি করে তাকে ধবংস করে দিতে পারে।সাধারণভাবে, জীবিত ভাইরাসকে তাপে বা অন্য কোনও ভাবে একটু দুর্বল করে নেওয়া হয়।অথবা মৃত ভাইরাসের কিছু অংশ বা পুরোটাই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরে ঢোকানো হয়।”
আরও পড়ুন: বাচ্চাদের জ্বরের সঙ্গে এই সব উপসর্গ? সাবধান, কাওয়াসাকি বা এমআইএস- সি হতে পারে
সুবিধা-অসুবিধা
জীবিত ভাইরাসকে যতই দুর্বল করা হোক-না কেন, শরীরে ঢোকার পর অনেক সময় সে আবার সবল হলে নিজ মূর্তি ধরতে পারে।ফলে সুরক্ষা দেওয়া তো দূরস্থান, ভ্যাকসিনের জন্যই রোগে পড়তে পারেন মানুষ।অন্য দিকে, মৃত ভাইরাস দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন আবার কম ডোজে ভাল কাজ করে না, তা ছাড়া ঠিকঠাক সুরক্ষা পেতে গেলে এ ধরনের টিকা বার বার বুস্টার ডোজে দিয়ে যেতে হয়।সেটা এক বড় অসুবিধা।সেই জন্যই প্রথাগত পদ্ধতিতে প্রতিষেধক বানানোর পাশাপাশি অনেকে নতুন প্রযুক্তিতেও বানানোর চেষ্টা করছেন।এবার যত তাড়াতাড়ি অ্যানিম্যাল ট্রায়ালের পর্ব শেষ করে হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হবে, তত তাড়াতাড়ি বাজারে আসবে ভ্যাকসিন।
হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হলে বাজারে আসবে ভ্যাকসিন। ফাইল ছবি
হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কী
“টিকা সবার উপযোগী হল কি না তা জানতে গেলে প্রচুর মানুষের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করে তার ভালমন্দ যাচাই করতে হয়।মন্দর চেয়ে ভালর মাত্রা বেশি হলে তবেই তা বাজারে আসার অনুমোদন পায়।একেই বলে হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল”, জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।সাধারণত তিনটি পর্যায়ে ট্রায়াল হয়।
• প্রথম পর্যায়ে অল্পসংখ্যক স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দিয়ে দেখা হয়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তাঁদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারছে এবং তাঁদের শরীরে কোনও বিরূপ প্রভাব পড়ছে কি না।
• দ্বিতীয় পর্যায়ে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত কোনও দেশের কয়েকশো মানুষের উপর প্রয়োগ করে দেখা হয়, ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকর।
• তৃতীয় ধাপে কয়েক হাজার লোকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা পরখ করা হয়।
কাজগুলি যে খুব সহজে হয়ে যায়, এমন কিন্তু নয়।নিয়মকানুন বুঝে নাম লেখানোর পরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক মাঝ পথে ছেড়ে চলে যান।তখন নতুন করে স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করে কাজ শুরু করতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে যায়।
এর অবশ্য যথেষ্ট কারণও থাকে।সব সময় যে টিকাগুলো খুব নিরাপদ হয়, তেমন নয়।কার্যকরিতাও ঠিকঠাক থাকে না অনেক সময়।এই সব ত্রুটি খুঁজে বের করার আগে তাড়াহুড়ো করে টিকা বাজারে নিয়ে চলে এলে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: ফল বা সব্জি ধোওয়ার ক্ষেত্রে এখন কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
তাড়াহুড়োর বিপদ
“করোনাভাইরাস হল আদ্যন্ত নতুন এক জীবাণু।সে যে কী করতে পারে আর কী পারে না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও ঘোরতর সন্দিহান।যে সমস্ত প্রযুক্তিতে ভ্যাকসিন বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, তার অনেকগুলিই নতুন এবং অপরীক্ষিত।আরএনএ বা ডিএনএ, কোনও জেনেটিক উপাদান থেকেই তৈরি কোনও ভ্যাকসিন আজ অবধি অনুমোদিত হয়নি।কাজেই এই ভ্যাকসিন বানানোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা”, জানালেন অমিতাভ নন্দী।
১৯৬০-এর দশকে যেমন হয়েছিল।সিনসিটিয়াল ভাইরাস নামে এক জীবাণুর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল।এই ভাইরাস সংক্রমণে শিশুদের কমন কোল্ড হয়।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা যায়, ওই ভ্যাকসিন দিলে শিশুদের উপসর্গ আরও বেড়ে যাচ্ছে।ফলে প্রায় শেষের পর্যায়ে এসে ভ্যাকসিন বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভেষজ ক্বাথ কী ভাবে খেতে হবে, উপকার বা অপকার কী কী
সার্স ভ্যাকসিন দিয়ে যখন অ্যানিম্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছিল, তখনও একই রকম ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।সেটাই স্বাভাবিক।ল্যাবরেটরিতে কিছু বানানো আর পশু বা মানবশরীরে তার কার্যকরিতা পরখ করা, দুটো ব্যাপার তো এক নয়! ফলে প্রতি মুহূর্তে নানা রকম সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়।
গবেষণাগারে প্রতি মুহূর্তে নিতে হচ্ছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। ফাইল ছবি।
তাহলে কত সময়
সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের জন্য একেকটি ভ্যাকসিনের সাধারণত এক দশক বা তারও বেশি সময় লেগে যায়।বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব কম করে হলেও ১৮ মাসের আগে কিছু হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।আর ১৮ মাসেও যদি হয় তো বুঝতে হবে, তা অনেক তাড়াতাড়ি হল।
চটজলদি আসতে পারে যে সমস্ত ভ্যাকসিন
ইংল্যান্ড, চিন, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতিপর্ব যে হারে চলেছে, তাতে অনেকেই দাবি করছেন, খুব দ্রুত বাজারে চলে আসবে পরিত্রাণের উপায়।১৩৫টিরও বেশি প্রতিষেধকের কাজ চলছে পুরোদমে।অন্তিম পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বেশ কয়েকটি।মানে, এই পর্যায়ে সাফল্যের মুখ দেখলেই মুশকিল আসান।সেই তালিকায় আছে ইংল্যান্ডের চ্যাডক্স-১, ভারতের কোভ্যাক্সিন ও জাইকোভ-ডি, চিনের এডি৫-এনকোভ, আমেরিকার এমআরএনএ-১২৭৩ ও মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেওয়া রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক ভি।
রাশিয়া সবার আগে?
দাবি সেই রকমই।কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন না সেরকম।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, “মাত্র ৩৮ জনের উপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।ভাল কথা।কিন্তু কী ভাবে কী হল, সে সম্বন্ধে কোনও বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রবন্ধ ছাপা হয়নি।যা জানানো হয়েছে, সব মিডিয়ায়।তা হলে কী করে বোঝা যাবে যে, সত্যিই কতটা কাজ হবে বা কতটা নিরাপদ এই টিকা? আগে তিনটে পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হোক।গবেষণা প্রবন্ধ ছাপা হোক, তার পর বোঝা যাবে এটা সত্যিই কতটা কাজ করছে।
চ্যাডক্স আর কত দূর
নাম বদলে গেছে।এখন সে এজেডডি-১২২২।গত ২০ জুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই টিকা ব্রাজিলের সাও পাওলো এবং রিও ডি জেনেইরোর পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া যায়।আপাতত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ফেজ থ্রি-তে রয়েছে সে।সব ঠিক থাকলে হয়তো এ বছরই বাজারে এসে যাবে।টিমের অন্যতম নেতা ও জেনার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান হিল জানান, এ বছরের শেষে চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল হবে।ভ্যাকসিন-নেওয়া তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ভাইরাসের সামনে ফেলে দেখা হবে, তাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন কি না।না হলে বা অল্প কয়েকজন মৃদুভাবে সংক্রমিত হলে বুঝতে হবে, সাফল্য এসে গেছে।কিন্তু তা যদি না হয়? স্বেচ্ছাসেবকরা যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন? আশ্বস্ত করেছেন ডা. হিল।কড়া ইমিউনিটি আছে এমন তরতাজা কমবয়সিদেরই নেওয়া হবে এ কাজে।তৈরি থাকবে সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা।কাজেই ভয় নেই।বরং আশা আছে প্রচুর।
চ্যাডক্সের বিশেষত্ব
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের দাবি, সবার চেয়ে এগিয়ে আছে সে।শুধু যে আগে বাজারে আসতে পারে, সে জন্য নয়।ফলাফলেও সে ব্যতিক্রমী।কী রকম, তা একটু বলা যাক।
টিকার কাজ হল অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল রেসপন্স তৈরি করা।অ্যান্টিবডি শরীরে থাকা ভাইরাসকে খুঁজে লড়াই করে মেরে ফেলে।টি-সেল কাজ করে দু-তিনভাবে।প্রথমত, অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে।দ্বিতীয়ত, সংক্রমিত কোষে গিয়ে ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি তাকে ভাল করে চিনে নিজের স্মৃতিতে রেখে দেয়।ফলে পরে আবার ভাইরাস ঢুকলে যে সব কোষে ভাইরাসের স্মৃতি ধরা আছে, মেমরি সেল, তারা আগে আক্রান্ত হয়।এর ফলে যা হয়, সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডি তো কমতে থাকে, তখন এই টি-সেলগুলিই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে তাকে অকেজো করে।অক্সফোর্ডের গবেষকদের দাবি, তাঁদের টিকা এই টি-সেলের উপরও কাজ করে।ফলে তার কার্যকরিতা অন্য টিকার তুলনায় বেশি।
এর বিরুদ্ধ মতও আছে।লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরের মতে, যে সব ভ্যাকসিন টি-সেল তৈরি করতে পারে না, তারা কম কার্যকর, এমন নয়।অ্যান্টিবডি কমলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যায়, এমনও নয়।যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি শরীরে থাকলে পরীক্ষায় তার উপস্থিতি ধরা পড়ে, তার থেকেও কম কারও শরীরে থাকতে পারে।কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দ্বিতীয় বার ওই ভাইরাস ঢুকলেই তিনি প্রবল ভাবে সংক্রমিত হবেন।আবার কারও শরীরে টি-সেল রেসপন্স থাকলেই তিনি ১০০ শতাংশ নিরাপদ, এমন ভাবারও কারণ নেই।কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এই টিকা কোনও অংশে খাটো।বরং তুল্যমূল্য বিচারে সে সবার চেয়ে এগিয়েই রয়েছে।
এগিয়ে চিন
একা চিন নয়, কেম্ব্রিজ ও ম্যাসাচুসেটসের গবেষকরাও অংশ নিয়েছেন এডি-৫-এনকোভ ও আরও ৭টা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে।এর মধ্যে যাকে নিয়ে বাজি ধরছেন সবাই, সে হল এডি-৫-এনকোভ।গবেষণার খরচ জোগাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ।এডি-৫-এনকোভ-এর প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উহানে বিভিন্ন বয়সের ১০৮ জনকে টিকা দিয়ে ভাল ফল পাওয়া গেছে।ভাল খবর হল, যাঁদের এডি-৫-এনকোভ-এর দুটো ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।কোভিড থেকে সেরে-ওঠা মানুষের শরীরে যত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি।আর মন্দ খবর হল, ট্রায়ালে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের বেশ ভাল রকম ঝিমুনি হয়েছে।মাথাও ধরেছে অনেকের।
ভারতে ১২টি সংস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে একযোগে। ফাইল ছবি
আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া
চ্যাডক্সের পরেই রয়েছে মার্কিন সংস্থা মডার্না আইএনসি-র তৈরি এমআরএনএ-১২৭৩ ভ্যাকসিন।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে।পিছিয়ে নেই জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।ফেজ টু-তে রয়েছে জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিটিএন-১৬২।এবং সেই সঙ্গে ব্রিসবেন বিশ্ববিদ্যালয় মলিকিউলার ক্ল্যাম্প পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ করেছে প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ের ট্রায়ালের কাজ।
আরও পড়ুন: কোভিডে সহায়ক চিকিৎসাতেই সুস্থতা, জেনে নিন কোনটা প্রয়োজন কোনটা নয়
আমাদের দেশে
কোভ্যাক্সিনের বিষয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছি আমরা।১২টি সংস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে একযোগে।তার যে বাজারে আসতে খুব বেশি দেরি হবে না, তা নিয়ে আশাবাদী সবাই।জাইকোভ-ডি নামে আরেকটি টিকারও হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে এবার।
জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)