প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেটের রমরমায় প্রয়োজন কমেছে ডাক যোগাযোগের। এখন আর দরকার হয় না চিঠি লেখার। তবু দিনটা রয়ে গিয়েছে। ‘বিশ্ব ডাক দিবস’। ৯ অক্টোবর। সুইৎজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে ১৮৭৪ সালে এ দিনই তৈরি হয়েছিল ‘ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন’। সে দিনটিতেই সারা পৃথিবীর জুড়ে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডাক দিবস’।
ডাক ব্যবস্থার প্রয়োজন কমে এলেও, এখনও এর স্মৃতি আবছা হয়ে যায়নি। বরং ইনল্যান্ড লেটার বা পোস্টকার্ড যে খুব সহজেই পুরনো কথা মনে করিয়ে দিতে পারে তা প্রমাণিত শনিবারের সকালে। তাই এ দিন নেটমাধ্যম ভরে উঠল ডাকের স্মৃতিতে।
মোবাইল ফোন বিপ্লবের পরে প্রয়োজন কমে গিয়েছে ডাকের। তবু কারও কারও বাড়িতে আজও রয়ে গিয়েছে পুরনো ইনল্যান্ড লেটার বা পোস্টকার্ড। বহু সাধারণ মানুষ সেগুলির ছবি দিলেন নেটমাধ্যমে।
শুধু সাধারণ মানুষই নন, ডাক ব্যবস্থা নিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন নামজাদারাও। বর্তমান সময়েও কেন ডাক ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে, সে কথাও লিখলেন কেউ কেউ। এই তালিকায় রয়েছেন রাজস্থান এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরাও।
মুলায়ম সিংহ যাদবের পুত্রবধূ, সঙ্গীত শিল্পী অপর্ণাও নেটমাধ্যমে লিখলেন, এক সময়ে ডাকের মাধ্যমেই ভাইকে রাখি পাঠাতেন তিনি। মনে পড়ছে সেই দিনের কথা।
এ দিন কেন্দ্র সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের তরফেও কাশ্মীরের ডাল হৃদের ভাসমান ডাকঅফিসের ছবি পোস্ট করা হয় নেটমাধ্যমে।
২০১৮ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’। যদিও তার বহু দিন আগে থেকেই গুরুত্ব কমেছে ডাক যোগাযোগের। তবু স্মৃতি যে সহজে পিছু ছাড়ে না, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে এ বছরের ‘বিশ্ব ডাক দিবস’-এ।