খুদের মনোযোগ বাড়বে মজার ছলেই। ছবি: শাটারস্টক।
ছেলেমেয়ের পড়াশোনার পিছনে অনেকখানি সময় ব্যয় করলেও ক্লাসে ক্রমে মনোযাগ হারাচ্ছে তারা। যা যা বাড়িতে পড়ছে, পড়া ধরলে তার সব ঠিকঠাক উত্তর দিলেও স্কুলে পড়াশোনার গিয়ে কিছুতেই ভাল ফল করতে পারছে না পরীক্ষার খাতায়। ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে নম্বর। এই সমস্যায় কিন্তু অনেক অভিভাবকই ভুগছেন। সন্তান অমনোযোগী বলে তাকে প্রচুর বকাঝকাও করেন কেউ কেউ। তবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য বকাবকি করে লাভ নেই বরং ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
১) শিশুরা খেলতে ভালবাসে। তাই সন্তানের খেলার জিনিসই ওর মনোযোগ বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এমন কিছু খেলনা শিশুর জন্য কিনে আনুন, যা খেলতে বেশ ধৈর্য লাগে। নানা ধরনের পাজল খেলার প্রতি আকৃষ্ট করুন। এতে শিশুর মনোযোগ বাড়বে।
২) শিশু ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করে তো? কারণ ডায়েট ঠিক না থাকলেও মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। পেট খালি থাকার কারণেই হয়তো তার কাজে মন বসছে না। শিশুর ডায়েটে রাখুন শাকসব্জি, ফ্যাটযুক্ত মাছ ও নানা ধরনের ফল। এগুলি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত কিংবা প্যাকেটজাত খাবার থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
৩) এক জন শিশুর সারা দিনে সমস্ত কাজের নির্দিষ্ট রুটিন থাকা দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই খাওয়া, ঘুম, খেলা আর পড়ার সময় উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকেও মনোযোগের অভাব ঘটতে পারে। গ্যাজেট, যেমন টিভি, ফোন, ল্যাপটপের কারণে অনেক শিশু মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। তেমন বুঝলে শিশুকে কিছু দিন গ্যাজেট থেকে দূরে রাখুন। একান্ত প্রয়োজন হলে গ্যাজেট ব্যবহারের সময় বেঁধে দিন।
৪) ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলে কোনও কাজই করতে ইচ্ছা করে না। তাই কাজের ফাঁকে শিশুকে বিশ্রাম নিতে বলুন। বিশেষ করে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনোও অত্যন্ত জরুরি। ভাল ঘুম হলে পরদিন সকালে তার কাজের প্রতি উৎসাহ ও মনোযোগের ধরনটাই অন্য রকম হবে।
৫) অনেক শিশুই বই পড়তে ভালবাসে না। কিংবা পড়লেও সে ভাবে মন বসাতে পারে না। তাদের জন্য বাবা-মায়ের উচিত পড়াশোনার অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা। অডিয়ো, ভিডিয়োর মাধ্যমে এখন অনেক জিনিস রপ্ত করা সম্ভব।