কখনও কিছু নিয়ে দুঃশ্চিন্তা, কখনও সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় মানসিক দোলাচল, কখনও উদ্বেগ। আমরা না চাইলেও এই ধরনের পরিস্থিতি সকলের জীবনেই আসে। আর এগুলোই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে জন্ম দেয় এক অদ্ভুত টেনসন, মানসিক চাপ, উত্কণ্ঠার। চেষ্টা করেও আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না দুঃশ্চিন্তা। অথচ এই দুঃশ্চিন্তা থেকেই শুরু হয় নানা রকম মানসিক, এমনকী শারীরিক সমস্যারও।
ভাল থাকতে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তিনটি উপায়। যার সাহায্যে মনের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেন। যাতে দুঃশ্চিন্তায় রাশ টেনে বাড়াতে পারেন মানসিক শান্তি।
দুঃশ্চিন্তার কারণ লিখে রাখুন
অধিকাংশ সময়ই দুঃশ্চিন্তার কারণ সমাধান সূত্র নিয়ে সন্দেহ। মাথার মধ্যে চলতে থাকে ধোঁয়াশা, নিজের প্রতি অবিশ্বাস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুঃশ্চিন্তা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার কারণ বুঝতে, ও সমাধান সূত্র খুঁজে পেতে সহজ হয়। যারা যে কোনও সমস্যা নিয়ে স্ট্রেসে ভোগেন তাদের নিয়ে এই পদ্ধতির সাহায্যে একটি গবেষণা চালান শিকাগো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, এর ফলে তারা অনেক বেশি স্ট্রেসমুক্ত হতে পেরেছেন, মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পেরেছেন অযথা দুঃশ্চিন্তা।
মাইন্ডফুল মেডিটেশন
মানসিক শান্তির জন্য মেডিটেশনের উপকারিতার কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই। শুধুমাত্র চোখ বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোনিবেশ করলেই মানসিক স্থিরতা আসে। তাই যখন মাথায় প্রচুর কাজের চাপ থাকবে, অথবা কোনও কারণে উত্কণ্ঠায় ভুগবেন তখন একটু সময় বের করে নিন। শুধু প্রয়োজন একটা শান্ত স্থান ও উন্মুক্ত মন। দু’মিনিটের মনসংযোগও চিন্তা-ভাবনা স্বচ্ছতা বাড়াতে সক্ষম।
এক্সারসাইজ
স্ট্রেস বের করে দিন এক্সারসাইজের মাধ্যমে। প্রথম দিকে কঠিন মনে হলেও নিয়মিত এক্সারাসাইজ মন ও শরীরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে। স্ট্রেস, চিন্তা কমে গিয়ে নিজের গুরুত্ব বুঝতে শিখবেন। যারা উত্কণ্ঠা, অবসাদে ভোগেন চিকিত্সকরা তাদের নিয়মিত এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত এক্সারসাইজ শরীরে অ্যাড্রিনালিন, কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মস্তিষ্কে এন্ডরফিনের ক্ষরণও বাড়ায়। এই এন্ডরফিন যন্ত্রণা উপশম করে মুড ভাল করতে সাহায্য করে।