Prevention of Insomnia

রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়? শোয়ার আগে কোন কোন অভ্যাসে সবার আগে বদল জরুরি?

আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবন, উদ্বেগ, নানা ব্যস্ততার জেরে রাতের ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকের ক্ষেত্রেই। এরই মাঝে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও। গভীর ঘুম আনতে হলে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে হবে, জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০০
Share:
গভীর ঘুম চাইলে রাতে ৫ কাজ ভুলেও করবেন না।

গভীর ঘুম চাইলে রাতে ৫ কাজ ভুলেও করবেন না। ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়েব সিরিজ় দেখা, তার পর বাকি রাতটা বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করে কাটিয়ে দেওয়া— এমন সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে আরও হাজার রোগ। স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ— শরীরে নানা জটিলতা বাড়ে এই অনিদ্রার সমস্যার হাত ধরেই। ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। অনেকের আবার ঘুম এলেও মাঝেমধ্যেই ঘুম ভেঙে যায়। একটানা ঘুম আসতে চায় না কিছুতেই। আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবন, উদ্বেগ, নানা ব্যস্ততার জেরে রাতে ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকের ক্ষেত্রেই। এরই মাঝে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও। গভীর ঘুম আনতে হলে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে হবে, জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Advertisement

১) টিভি, ল্যাপটপ কিংবা ফোন ব্যবহার করার সময় কমিয়ে আনুন। বৈদ্যুতিন পর্দায় চোখ রাখলেই মস্তিস্ক সজাগ ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে এই নিজেকে এই ধরনের পর্দার সামনে থেকে সরিয়ে নিন। যদি কিছু করতেই হয়, তবে একটু দূর থেকে মৃদু সঙ্গীত বাজাতে পারেন। তবে হেডফোন কানে লাগিয়ে ঘুমোবেন না কোনও মতেই।

২) ধ্যান ও সঠিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম ঘুমে খুবই সহায়তা করতে পারে। প্রতি দিন নিয়ম করে এই ধরনের অনুশীলন করলে মানসিক চাপ ও অনিদ্রা— দুই সমস্যা থেকেই মুক্তি মিলতে পারে।

Advertisement

৩) কী খাচ্ছেন তাঁর সঙ্গেও ঘুমের যোগ রয়েছে। ক্যাফিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুম আসে না। কফি ও চকোলেটে এই উপাদানটি থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগেই থামিয়ে দিতে হবে এই ধরনের খাবার। পাশাপাশি রাতের খাবার যথাসম্ভব হালকা রাখাই ভাল। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যায় ঘুম আসতে বিলম্ব হতে পারে।

৪) ঘুমোতে যাওয়ার সময় যেন আশপাশের পরিবেশ থাকে শান্ত। উজ্জ্বল আলোর বদলে মৃদু নীল রঙের আলো থাকলে সুবিধা হতে পারে ঘুমাতে। শোয়ার ঘরে ঘুমোনোর আগে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বিছানা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন, সেটাও কিন্তু জরুরি।

৫) ঘুমোতে যাওয়ার সময় অনেকেরই মাথায় হরেক রকমের দুশ্চিন্তা আসে। আর এই দুশ্চিন্তাই অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই সমস্যাগুলি মাথার থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর সবচেয়ে ভাল উপায় রোজ ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তার কথা লিখে রাখা। শুধু দুশ্চিন্তার কথা নয়, আগামী দিনে কী কী কাজ বাকি পড়ে আছে, তা-ও লিখে রাখতে পারেন। এতে অন্তত কিছু সময়ের জন্য মাথা হালকা হয়ে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement