বর্ষায় চিংড়ি রাঁধার সময় কোন ভুল ভুলেও নয়? ছবি: শাটারস্টক।
ভরা বর্ষাতেও ইলিশ ছেড়ে চিংড়ি মাছের জন্য পাগল এমন বাঙালির সংখ্যাও কম নেই। মালাইকারি হোক কিংবা ভর্তা, চিংড়ির যে কোনও পদ দিয়েই জমিয়ে ভূরিভোজ সারতে ওস্তাদ বাঙালি। তবে অনেকেই আবার পেটের গন্ডোগোলের ভয় বর্ষায় চিংড়ি মাছ খেতে ভয় পান। চিংড়ি রান্নার সময়ে কিছু সাধারণ ভুল অনেকেই করে থাকেন। যার জেরেই হয় পেটের সমস্যা। দেখে নিন, চিংড়ি রান্নার সময়ে কোন ভুলগুলি একেবারেই করা চলবে না।
১) গোটা সপ্তাহের মাছ একবারেই বাজার করে ফ্রিজে রেখে দেন? রান্নার খানিক ক্ষণ আগে মাছগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে মাইক্রোওয়েভে ডিফ্রস্ট করেই রান্না সারেন অনেকে। তবে চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রে এই ভুল করলে স্বাদ বিগড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হল, রান্নার আট থেকে দশ ঘণ্টা আগেই মাছটি ফ্রিজ থেকে বার করে রাখা।
২) কালিয়া হোক কিংবা কারি, অনেক পদের ক্ষেত্রেই বেশি করে মাছ ভেজে নিলে স্বাদ বাড়ে। চিংড়ির মাছ বেশি ভাজলে স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। চিংড়ি তেলে ছেড়ে হালকা গোলাপি হলেই তুলে ফেলুল। আর চিংড়ি মাছ ভাজার সময়ে তেল হালকা গরম করুন। অতিরিক্ত গরম তেলে এই মাছ ভাজলে স্বাদ বিগড়ে যায়।
৩) চিংড়ি রান্নার আগে শিরা বার করতে ভুলবেন না। না হলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ছুরি কিংবা টুথপিক দিয়ে বাড়িতেই আপনি চিংড়ি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। যদি নিজের করতে অসুবিধা হয়, তা হলে চিংড়ি কেনার সময়েই করিয়ে নেওয়া ভাল৷ অনলাইনে মাছ কিনলেও চিংড়িগুলি আদৌ পরিষ্কার কি না, সে দিকে নজর রাখতে ভুলবেন না যেন।
৪) চিংড়ি পরিষ্কার করার সময়ে আমরা পুরো খোসাটাই ছাড়িয়ে দিই। তবে বাকি খোসাটা ছাড়িয়ে দিলেও লেজটুকু ফেলবেন না। এতে চিংড়ি মাছগুলি ভেঙে যাবে না। খেতেও সুবিধা হবে।
৫) বাজার থেকে হিমায়িত চিংড়ি না কিনে টাটকা চিংড়ি কেনাই উচিত। কারণ, এই ধরনের চিংড়িগুলি রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় বলে তার স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।