গরমে ঘুরে আসুন ঘুমের দেশ থেকে। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন অফিসের কাজ, মিটিং আর যাতায়াত করে কম পরিশ্রম হয় না। কখনও কখনও তো কাজ করতে করতেই ক্লান্তিতে চোখ ঢুলে আসে ঘুমে। কিন্তু বাড়ি ফিরে নিজের বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতে ঘুম পালিয়ে যায়। রাতে ঘুম না আসার সমস্যা অনেকেরই আছে। তবে প্রচণ্ড ক্লান্তিতে অনেক সময়ে ঘুম চলে আসে। কিন্তু এই গরমে ঘুম যেন একেবারে বিদায় নিয়েছে। এসি চালিয়েও দুচোখের পাতা এক করা যাচ্ছে না। লো়ডশেডিং হলে তো কথাই নেই। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে চৈত্র-বৈশাখের গরমেও শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন।
রাতে মিষ্টি খাবেন না
খাওয়াদাওয়ার পর একটু মিষ্টি না খেলে ঠিক ভাল লাগে না। রাতের খাবারে ভালমন্দ থাকলে মনটা মিষ্টি খাওয়ার জন্য বায়না করে। তবে ঘুম না আসার এই সমস্যা যদি চলতেই থাকে, তা হলে শুতে যাওয়ার আগে মিষ্টি খাওয়া কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখুন। মিষ্টি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
মশলা কম খান
শুধু চিনি নয়, মশলাও কিন্তু ঘুম না আসার কারণ হতে পারে। গরমে রাতের খাবার যতটা সম্ভব মশলাবিহীন রাখুন। হালকা খাবার খান। সহজে হজম হয়ে যায় এমন খাবার বেশি করে খান। দরকার হলে তরল খাবার খেতে পারেন। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না।
কলা, বাদাম, মধু খান
কিছু খাবার আবার দ্রুত ঘুমের দেশে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কলা, বাদাম এবং মধু সেই দলে পড়ে। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, যা মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান আর সেরোটোনিন ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। তার ফলে মন এবং মাথা শান্ত হয়। ঘুমও আসে দ্রুত। কলা এবং বাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম একই কাজ করে। ঘুম না এলে এই তিনটি খাবার অল্প করে খেয়ে দেখতে পারেন।
চিন্তা কমানো জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
চিন্তা কমান
চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না। বরং চিন্তা করলে শরীর খারাপ হতে থাকে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই চিন্তা কমানো জরুরি। মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, মনের মধ্যে যাবতীয় জটিলতা সব ঝে়ড়ে ফেলুন। আনন্দে থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন ঘুম এমনিই চলে এসেছে।